আমার ব্যক্তিগত মত, সবকিছু দু`মাস বন্ধ রাখা উচিত: অভিষেক
তিনি বলেন, যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, অথচ সেখানে কোভিড সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি, সেখানে কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করার জন্য ভোট না করাই ভাল। তাতে, মানুষ বাঁচবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: "আগামী ২ মাস নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত!" বাড়তে থাকা কোভিড পরিস্থিতিতে শনিবার নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "পুর নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ফলে, রাজ্য সরকার থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। কিন্তু, যদি আমায় ব্যক্তিগত ভাবে জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে আমার মত, আগামী ২ মাসের জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা উচিত।" প্রশাসনিক বৈঠক শেষে তাঁর এই মন্তব্যে সভাবতই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যের বিরোধীদলগুলিও এই পরিস্থিতিতে ভোট করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোটের পরই রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলিতে ভোট নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। যার জেরে আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪টি পুরসভাতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, বাড়তে থাকা কভিড পরিস্থিতে নির্বাচন কতটা সমিচিন হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা রুজু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও, তিনি নিজে তাঁর এই বক্তব্যকে একান্ত ব্যক্তিগত চমত বলেই দাবি করেছেন।
শনিবার, ডায়মন্ডহারবারে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেন জেলার জন্য। বাজার সহ জনবহুল এলাকায় এবার আর একটি নয়, দুটি করে মাস্ক পড় বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ও ব্লকে একটা করে টিম তৈরি করা হবে,যারা সেই ওয়ার্ড ও ব্লকের খোঁজ খবর নেবে। কোনও ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকদের টিম থাকবে যারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও, বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই মেলা হচ্ছে। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন মেনে তা হচ্ছে। তবে, এই মুহূর্তে যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষেই ব্যক্তিগত ভাবে অভিমত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তিনি বলেন, যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, অথচ সেখানে কোভিড সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি, সেখানে কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করার জন্য ভোট না করাই ভাল। তাতে, মানুষ বাঁচবে।