Abhishek Banerjee: `ভোটবাক্স যখন খুলবে, পদ্মফুল যেন চোখে সরষে ফুল দেখে`!
পঞ্চায়েত দফা বাড়ানো নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করিয়ে দিলেন, `বিধানসভাতেও ভোট হয়েছিল ৮ দফায়`।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: 'বিধানসভাতেও ভোট হয়েছিল ৮ দফায়'। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'সেই ৮ দফার জবাব ৮ জুলাই গণতান্ত্রিকভাবে দেবে বাংলার মানুষ'।
আরও পড়ুন: Sabang: ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? মুখ খুললেন বিজেপি কর্মী দীপক সামন্তর মা!
কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরাটোপেই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, কোন জেলায় কত সিআরপিএফ, বিএসএফ ও সিআইএসএফ মোতায়েন করা হবে, কমিশনকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১১ জেলায় CRPF, ৬ জেলায় CISF ও ৯ জেলায় BSF-কে পাঠানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন থাকবে মুর্শিদাবাদে।
এদিকে ৮ জুলাই এক দফাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যে। কেন? সরব বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোট দফা বাড়ানোর দাবি আগেই তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, নওশাদ সিদ্দিকী। বাদ গেলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভা অধীর চৌধুরীও। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এদিন ভোটের প্রচারে আসানসোলের বারাবনিতে রোড-শো করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'এক ছটাক জমি ছাড়বেন না পঞ্চায়েত নির্বাচনে। গতবার মনে আছে, আসানসোল কখন ভোট হয়েছিল, কোভিডে। কী অবস্থা! পজিটিভি রেট ২৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ। মানুষ মারা যাচ্ছে। তাও বিজেপির সুবিধা করে দেবে বলে, ৮ দফায় বাংলায় ভোট করেছিল। সেই ৮ দফায় জবাব ৮ জুলাই আপনাদের দিতে হবে, জোড়াফুলে ভোট দিয়ে। ভোটবাক্স যখন খুলবে, পদ্মফুল যেন চোখে সরষে ফুল দেখে'।
আরও পড়ুন: BJP Flag: বিজেপির পতাকায় আটকে কন্ডোম! জলপাইগুড়িতে ভোটের আগে ছড়াল চাঞ্চল্য
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, '২০১৮ সালের সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে এখনকার একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। মানুষ এখন ভয়মুক্ত হয়ে গিয়েছে। মানুষ প্রতিবাদ করছে, রুখে দাঁড়াচ্ছে। সেটা ঢাকবার এসব বলে বেড়াচ্ছেন'।
পঞ্চায়েত কাকে প্রার্থী? সাধারণ মানুষের মতামত জানতে রাজ্য জুড়ে পদযাত্রা করেছিলেন অভিষেক। কর্মসূচির নাম, 'তৃণমূলে নবজোয়ার'। শমীক বলেন, 'তিন হাজার মানুষকে নিয়ে, পুলিসকে নিয়ে বেড়িয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণে, জন সম্পর্ক করতে। মানুষের ভোটে মানুষকে জেতাতে। বাড়ি ফিরেছে ভাঙা পিচবোর্ডের বাক্স নিয়ে। তার ভিতরে ব্যালট নেই। তাহলে ভোট কীভাবে হবে মানুষ জানেন। তৃণমূল দখলদারি করতে পারে। কিন্তু তৃণমূলের শেষের সে দিন খুব একটা দূরে নেই। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই সরকারটা থাকবে না'।