শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও সোমা মাইতি: মুর্শিদাবাদে গিয়ে সাগরদিঘির জোট সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে কি কোনও বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? শনিবার রানি নগরের সভায় অভিষেক বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস বিধায়ক জিতেছেন। আমি অনুরোধ করব আগামিদিনে সাগরদিঘিতে যাতে উন্নয়ন হয় তার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। কেউ বারণ করছে না। যেখানে আমরা জিতেছি সেখানেও পরিষেবা দিয়েছে। যেখানে হেরেছি সেখানেও পরিষেবা দিয়েছি। অধীরগড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেকের ওই মন্তব্যকে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মানুষ চাইছে আমরা প্রশাসনকে স্তব্ধ করে দিই; সরব ডিএ আন্দোলনকারীরা, মঞ্চে হাজির শুভেন্দু


বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেথা করে তাঁর এলাকার উন্নয়ণের জন্য কথা বলছেন তেমন দৃশ্য সাম্প্রতিক কালে দেখা যায় না। সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে অভিষেক যখন ওই কথা বলছেন তখন উন্নয়ণই যে তৃণমূলের শেষ কথা সেই বার্তা তিনি দিয়ে গেলেন। পাশাপাশি অভিষেকের মন্তব্যকে অন্যভাবে দেখছে বিরোধীরা।


রানিনগরের সভা থেকে যে বিধায়ককে লক্ষ্য করে ওই কথা অভিষেক বলেন সেই বাইরন বিশ্বাস এনিয়ে বলেন, উনি যেটা বলেছেন তা নিরপেক্ষ কথা। অবশ্যই আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আমাকে সময়ে দিলে আমি অবশ্যই গিয়ে আমার প্রস্তাব রাখব। সুযোগ পেলে বিধানসভাতেও কথা তুলব। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জলের সমস্য়া রয়েছে। সুযোগ দিলে এসব কথা তুলে ধরব। মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্যের মধ্য়েই পড়ে সাগরদিঘির মানুষের স্বার্থ দেখা। 


অন্যদিকে, অভিষেকের ওই কথা শুনে চুপ করে থাকেননি অধীর চৌধুরী। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, বাইরন যা বলেছে তা রাজনৈতিক সৌজন্য। কিন্তু হঠাত্ বাইরন বিশ্বাসকে নিয়ে খোকাবাবুর মাথায় এসব এল কেন? উন্নয়ন তো গোটা বাংলায় দরকার। তৃণমূলের কাছ থেকে সাগরদিঘি কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেই কি তা নিয়ে ভাবিত খোকাবাবু! সেটাই আমার প্রশ্ন। কাউকে বিড়ি খাওয়ানোর প্রয়োজন হলে বাইরন বিশ্বাসও বিড়ি দিতে পারে। কোনও অসুবিধে নেই। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তো ভালো। হঠাথ্ বাইন বিশ্বাস কেন? এটা আমার কাছে একটা বড় প্রশ্ন। 


এদিন অভিষেক আরও বলেন, মুর্শিদাবাদে বাইশ আসনের মধ্যে কুড়িটা জিতেছি। মুর্শিদাবাদেও যেমন সবাই লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছে তেমনি আলিপুরদুয়ারের সবাই তা পাচ্ছে। সেখানে আমরা কোনও আসন জিতিনি। দলমত নির্বিশেষে মমতা সবার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। কেউ বলতে পারবে আমি বিজেপি করি বলে স্বাস্থ্যসাথাী কার্ড পাইনি, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাইনি! আগামিদিনে নিজেদের অধিকারের স্বার্থে ভোট দিন।  গত লোকসভা ভোটে যখনই আপনারা ১৮টা সাংসদ বিজেপিকে দিয়ে দিলেন তখন দেখলেন কী হল? এরা একদিনের জন্যও আপানাদের জন্য দরবার করল না। তাই ভোটে দেওয়ার সময় ভেবেচিন্তে ভোট দিতে হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)