নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে বসে তখন গল্প করছিলেন এলাকারই বেশ কয়েকজন। পাশেই চলতি মোবাইলের দোকান। সেখানেই দাঁড়িয়ে ফোন রিচার্জ করাচ্ছিলেন জনা তিনেক। আচমকাই একটা শব্দ। সেই শব্দের উত্স খোঁজার জন্য মাথা ঘোড়ানোর অবকাশটুকু পাননি ওঁরা। একটি লরি সজোরে চায়ের দোকানে ধাক্কা মেরে ঢুকে পড়ল মোবাইলের দোকানে। ঘটনাস্থলেই থেঁতলে, পিষ্ট হয়ে যান তিন জন। সোমবার রাতভর লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় আরও একজনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের দুর্ঘটনার ভয়াবহতার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না প্রত্যক্ষদর্শীরাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার ঘড়ির কাটা ন’টা ছুঁয়েছে। দাসপুরের পাড়ারই চায়ের দোকানে আড্ডা মারছিলেন কয়েকজন। পাশেই মোবাইলের দোকানে আরও কয়েকজন ছিলেন। অভিযোগ, দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে। দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে থাকা দুজনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। লরিটি পরে ঢুকে যায় মোবাইলের দোকানেও। সেখানে মৃত্যু হয় আরও এক জনের। দুর্ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। স্থানীয়রাই তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে আরও এক জনের মৃত্যু হয়। আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


আরও পড়ুন:  বাড়িতে ফিরে লুকিয়ে টিফিন খাচ্ছিল দুই বোন, লাঞ্চ বক্সের দিকে তাকাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল মায়ের


এদিকে, মুর্শিদাবাদেও পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সোমবার রাতে হরিহরপাড়ার বেনেকোলা গ্রামে একটি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারলে মৃত্যু হয় বাইক চালকের। তাঁর নাম রিটন মণ্ডল। নাসিম মণ্ডল নামে আরও একজন বাইক আরোহী গুরুতর আহত।


অন্যদিকে, রাজিনগর থানার দাদপুরের বাইক ও লরির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিন জনের। জানা গিয়েছে, দাদপুরের পাশের গ্রামে পুজো হচ্ছিল। সেখানেই বাইকে গিয়েছিলেন তিন জন। ফেরার পথে দাদপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি লরি বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। বাকি ১ জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।