নিজস্ব প্রতিবেদন: সব চেয়ে জটিল ও অজ্ঞাত মানুষ তাঁর নিজের অন্তঃকরণেই। এমনই সচরাচর বলে থাকেন লেখক বা মনস্তত্ত্ববিদেরা। মনের গতি সত্যিই যে কত বিচিত্র ও অন্ধকার, বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিনই তার কত-না নজির যে দৃশ্যমান হয়, তার ইয়ত্তা নেই! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেখানে বাড়িতে পুলিসকে আসতে দেখেও কোনও বিকার দেখা গেল না অভিযুক্তের মধ্যে। পুলিসের কাছে কোনও অস্বীকার বা প্রতিরোধের বিন্দুমাত্র দেখা গেল না। বরং অভিযুক্ত পুলিসকে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করল। তারপর কাজ সেরে নিজেই উঠল পুলিসের গাড়িতে। 


আরও পড়ুন: খয়রাশোল-কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজত ধৃতের


ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজারে (malbazar)। বোনের বরকে বোনের বাড়িতেই শ্বাসরোধ করে মেরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘিস নদীর জলে ভাসিয়ে দিল বোনের দাদা। মৃতের নাম রাজকুমার ওঁরাও (৩৭)। অভিযুক্তের নাম বছর পঁয়তাল্লিশের অনিল ওঁরাও। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি বাবুজোত এলাকার ঘটনা। মালবাজার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে। 


মৃতের স্ত্রী বিপ্তি ওঁরাওয়ের কাছ থেকে মালবাজার (malbazar) পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। জানে খুনটি করেছে বিপ্তির দাদা অনিল। 
খবর পেয়েই পুলিস অনিলের বাড়ি যায়। আর সেখানেই এই বিরল দৃশ্য দেখা গেল। পুলিশ যখন অভিযুক্তের বাড়ি গেল, তখন অভিযুক্ত ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করছে। পুলিসকে দেখে বিন্দুমাত্র বিচলিত বোধ না করে সে শুধু বলে, 'আপনারা একটু দাঁড়ান। আমি হাতমুখ ধুয়ে, স্নান সেরে তৈরি হচ্ছি।' 


এরপর পুলিসের (police) সামনেই অভিযুক্ত সাবান দিয়ে স্নান করে, বাড়ির তুলসী গাছে পুজো করে, তার পরে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে পরিবারের লোকজনকে সান্ত্বনা দিয়ে পুলিসের গাড়িতে উঠে বসে। যা দেখে প্রাথমিক ভাবে বিস্মিতই পুলিসকর্মীরা।


মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা জানান, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, একজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: বোনকে 'বাঁচাতে' ভগ্নীপতিকে শ্বাসরোধ করে মেরে দেহ নদীতে ফেলল দাদা