`জোর করে সুন্দরী স্ত্রীর সঙ্গে বিকৃত যৌনসম্পর্ক করতাম`, আদালতে কবুল স্বামীর
স্ত্রী `সুন্দরী` ছিল। স্ত্রীর রূপের অহঙ্কার ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ায় স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী দীনেশ মান্নাকে পুলিস হেফজতের নির্দেশ দিল আদালত। ৫ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, ধৃত দীনেশ মান্নার দাদা খোকন মান্নাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পারিবারিক অশান্তির জেরে শুক্রবার স্ত্রী ও দুই মেয়ের ওপর অ্যাসিড হামলা করে দীনেশ। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন দীনেশ স্ত্রী। সন্তানদের বড় করতে কলকাতায় কাজ নেন তিনি। স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দীনেশ। কিন্তু স্বামীর অনুরোধকে আর আমল দেননি গৃহবধূ। আর তাতেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। শেষে শুক্রবার শ্বশুরাবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর উপর চড়াও হয় দীনেশ। অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে স্ত্রীর মুখে। অ্যাসিড হামলায় জখম হয় ৬ বছর ও ১ বছরের দুই মেয়েও।
আরও পড়ুন, বিয়ের আগেই কালো শালে মুখ ঢেকে আয়নার সামনে 'আত্মহত্যা' যাদবপুরের গবেষক ছাত্রীর
ঘটনার পরই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী দীনেশ মান্না। পরে তল্লাশি চালিয়ে শনিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় দীনেশের দাদা খোকনকেও। এদিন ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হয়। আদালতে দীনেশ জানায়, ক্রোধের বশেই সে এমন কাজ করেছে। সে দেখতে কালো। কিন্তু তার স্ত্রী 'সুন্দরী' ছিল। স্ত্রীর রূপের অহঙ্কার ছিল। দিনের পর দিন মাদকাসক্ত হয়ে থাকত সে। মাদকাসক্ত অবস্থায় জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে বিকৃত যৌন সম্পর্ক করত। তাতে আপত্তি করত স্ত্রী। শেষে একদিন মেয়েদের নিয়ে স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে যায়।
দীনেশ বলে, তারপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেনি স্ত্রী। এমনকি, শ্বশুরবাড়ি গেলে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না। তাই রাগে সে এমন কাজ করেছে। অ্যাসিড ছুঁড়ে সবাইকে খুনের পরিকল্পনা ছিল তার।