জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে বাড়ছে শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট। স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালগুলিকে এনিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতি কতটা ঘোরতর তা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। অধিকাংশ হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। ফলে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা শিশুদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিত্সকেরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যুও হয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শূন্যপদের সংখ্যা তিনশোরও বেশি! প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের  


হুগলি


হাসপাতালে বেড আছে ৪৩টি। শিশু ভর্তি ৯৫ জন। বেড সংখ্যার দ্বিগুনেরও বেশি রোগী ভর্তি হুগলি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। উপসর্গ, জ্বর সর্দি কাশি। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলার হাসপাতালগুলোতে পরিকাঠামো ঠিক করতে বলা হয়েছে। সেইমত হুগলি জেলা হাসপাতাল ১২টি স্পেশাল বেড বিশিষ্ট একটি পৃথক ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। দুটি পিডিয়াট্রিক সিসিইউ বেড রাখা হয়েছে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে কোনোও শিশু ভর্তি হলে তার অবস্থা বুঝে আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হবে। খারাপ পরিস্থিতি হলে সিসিইউতে ভর্তি করা হবে।


হুগলি জেলা হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা পার্থ ত্রিপাঠি বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে ভর্তি হচ্ছিল শিশুরা। সেটা গত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু শিশু অনেকটা বেশি শ্বাসকষ্টে ভুগছে। হাসপাতালে এই মুহূর্তে পেডিয়াট্রিক আইসিইউ চালু নেই। সেই কারনে জেনারেল সিসিইউতে আছে। সেখানে দুটো বেড আমরা রেখেছি। ভাইরাস নিয়ে যারা আসছে তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা খারাপ তাদের চিকিৎসার জন্য সিপ্যাপ মেশিন দিচ্ছি, প্রয়োজন ভেন্টিলেটরও রাখা হচ্ছে। এরপরেও যদি খারাপ হয় তখন রেফার করছি। এছাড়া একটা পৃথক ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। যেসব শিশুরা আইসিইউতে রাখার মত নয় অথচ খারাপ অবস্থা তাদের রাখা হবে ওই ওয়ার্ডে।


পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে নার্সদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, ডাক্তারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে, যাতে করে সব সময় দু-তিনজন ডাক্তারকে সবসময় পাওয়া যায়। অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়ানো হয়েছে। ওষুধ ইনজেকশন স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু হাসপাতালে পাইপলাইন আছে ওয়ার্ডে শিশুদের নেবুলাইজেশন এর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। আউটডোরে রোগির সংখ্যা বেড়েছে তাই এই ধরনের রোগীদের যাতে আলাদা করে দেখা হয় সেটা করা হচ্ছে। ইমারজেন্সিতে শিশুদের নেবুলাইজেশান দিয়ে সুস্থ করা হচ্ছে। অবজারভেশানে রেখে দেখা হচ্ছে যদি ভালো থাকে তখন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।


চিকিৎসক ত্রিপাঠি আরও জানান, অ্যাডিনো ভাইরাসের ভালো কোন ওষুধ সেই অর্থে নেই। ডাইরেক্ট ট্রিটমেন্টের কিছু নেই। যেটা আছে সেটা হল সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিলে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, তাই বাড়িতে যেটা দেখতে হবে,শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের ভিতরটা ঢুকে যাচ্ছে কিনা,শিশুরা দুধ খেতে পাচ্ছে না। শিশুদের বেশি করে জল খাওয়ানো প্রয়োজন। শিশুদের মত বড়দেরও অ্যাডিনো ভাইরাস হতে পারে। যেহেতু বড়রা বাইরে ঘোরেন। তাই বাড়িতে শিশুদের সামনে গেলে মাস্ক পড়তে হবে। সাধারণ ভাইরাস পাঁচ ছয় দিনে শেষ হয়ে যায়। অ্যাডিনো ভাইরাস দশ দিন থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। যাদের শ্বাস কষ্ট হচ্ছে তাদের একটু নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


কোচবিহার


কোচবিহার জেলাতেও এই রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে হাজির হচ্ছে বহু শিশু। পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক উদ্যোগ নিল এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ, রোগী কল্যান সমিতির চেয়্যারম্যান পার্থ প্রতিম রায় এবং শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার কল্যাণব্রত মন্ডল আজ সাংবাদিক সন্মেলন করেন।


কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, আমরা জেলার সমস্ত মহকুমা হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছি, যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত মহকুমা বা সদর হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। বুধবার অবধি পুরো জেলায় জ্বর সর্দি কাশির উপসর্গ নিয়ে ৮২ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। তবে কোচবিহারে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকলেও এই রোগের রক্ত পরীক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে কোনও রোগীর উপসর্গ ধরা পড়লে তার রক্ত পরীক্ষা করানোর জন্য সেই রক্ত পাঠাতে হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে রোগীর যদি এই উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে তার রক্ত পরীক্ষা হয়ে রিপোর্ট আসতে লেগে যাবে বেশ কয়েকটা দিন। সে ক্ষেত্রে কোন উত্তর নেই কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মুখে।


প্রসঙ্গত, বুধবারই তিনজনের রক্ত পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আমরা রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। স্বভাবতই জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে যে সমস্ত শিশুরা ভর্তি হচ্ছেন তাদের পরিবারের লোক রীতিমতো চিন্তিত।


শিলিগুড়ি


উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত সহেন্দে ভর্তি ২৬ জন শিশু। বুধবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে শিশুদের চিকিৎসক দেখানোর লম্বা লাইন পড়ে যায়। 


এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডা সঞ্জয় মল্লিক বলেন, এই মুহূর্তে চারদিকে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। এখন এআরআই নিয়ে ২৬টি শিশু ভর্তি আছে। আজকে নতুন করে আরও তিনজন শিশু ভর্তি হয়েছে। কোনও মৃত্যু নেই। বহির্বিভাগে যে রোগী এসছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ এআরআই রোগী। আমরা ইতিমধ্যে স্পেশাল এআরআই ক্লিনিক চালু করেছি। তবে যারা ভর্তি হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত টেস্ট না হচ্ছে সেইটা বলা সম্ভব না। আর স্যাম্পল নিয়ে আমাদের কাছে কোন নির্দেশ আসেনি। 


পাশাপাশি এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডা সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ হলে চার থেকে পাঁচ দিন জ্বর থাকে। জ্বর অনেক সময় কমতে চায় না ১০৩ থেকে ১০৪ পর্যন্ত জ্বর হতে পারে। তার সঙ্গে কারও সর্দি কাশি,বমি গা হাতপা ব্যথা হতে পারে। আমরা প্রস্তুত আছি, সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। 


কালনা


অ্যাডিনোভাইরাসের সমস্ত রকম উপসর্গ নিয়ে গত ৭ দিনে বর্ধমানের কালনা মহকুমা হসপিটালে ১০০ বেশি শিশু ভর্তি হয়েছে। বুধবার এমনটাই জানালেন কালনা হসপিটালে সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি। তিনি এদিন জানান, গত সাত দিনে ১০০ উপর শিশু ভর্তি হয়েছে কালনা মহকুমা হসপিটালে। যাদের সকলেরই উপসর্গ-জ্বর ঠান্ডা লাগা কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। বুধবার ২৯ জন ভর্তি রয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। বুধবার বেলা দুটো পর্যন্ত 8 জন শিশু নতুন করে আবার ভর্তি হয়েছে। তবে সকলের অবস্থায় এখন স্থিতিশীল।


এ বিষয়ে কালনা মহকুমা হসপিটালের শিশু চিকিৎসক ডা সঞ্জয় কুমার শহিস বলেন, বাচ্চাদেরই সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে। তাই শিশুদের ভিড় জায়গা থেকে বিরত রাখা মাস্ক স্যানিটাইজার এর ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক দিনে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। শিশুর অভিভাবকরা জানাচ্ছে ওষুধ খাইয়েও জ্বর নামছে না, তাই বাধ্য হয়েছেন শিশুদের ভর্তি করাতে।


বর্ধমান


বিভিন্ন জেলা থেকে যখন অ্যাডিনোভাইরাসে শিশু মৃত্যু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন উল্টো চিত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে অনেকটাই। মৃত্যুর সংখ্যাও শূন্য। মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়ে হাসপাতালের দাবি ওষুধ,ভেন্টিলেটর সহ সমস্ত পরিষেবা মজুত রয়েছে।
  
সপ্তাহ দু'য়েক আগে  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে তিল ধরানের জায়গায় ছিল না। শিশু বিভাগের আউটডোরে দৈনিক জ্বর, সর্দি,কাশির মত উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০। শিশু বিভাগ জানিয়েছিল, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে হঠাৎ করে শিশুদের জ্বর ও ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জ্বর, সর্দির সমস্যাই হচ্ছে মূলত। অনেক শিশুর বুকে সর্দি বসে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছে। শিশু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৬ মাসের বাচ্চা থেকে কিশোর, সবার মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আউটডোরে যেমন ভিড় উপছে পড়ছে, তেমনই ভর্তি হওয়া বাচ্চার সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ। 


বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তুভ নায়েক  বলেন, হাসপাতালে গড়ে যেখানে ৫০টি করে শিশু ভর্তি থাকত, এবার সেখানে ভর্তি সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায় যখন মৃত্যুর ঘটনা ঘটছিল, সেই সময় বর্ধমান হাসপাতালে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় মেডিক্যাল কলেজ নিজেদের  ‘ভি আর ডি এল’ তে এই রোগের নমুনা পরীক্ষা করায়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এটা নিশ্চিত করে যে অ্যাডিনোভাইরাসের কারণেই এই ঘটনা ঘটছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করেই মিলেছে ইতিবাচক সাড়া। 


সপ্তাহ দু'য়েক আগের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  দাবি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  শিশু বিভাগ সূত্রে  জানা গেছে , দৈনিক যেখানে প্রায় ৫০টি করে শিশু ভর্তি হচ্ছিল। সেই সংখ্যা ২০-২২ এ দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি, যারা ভর্তি ছিল, তাঁরাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। হাসপাতালে শিশু ভর্তি কমেছে। পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ভেন্টিলেটর রয়েছে। মোট ন'টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি শিশু ভেন্টিলেটর রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো মজবুত আছে। এখনো এই ভাইরাসে কোন শিশুর মৃত্যু হয়নি। 


জলপাইগুড়ি


অ্যাডিনোভাইরাস উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শিশুদের সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্বাসকষ্ট। এবার সেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য এবার পেডিয়েট্রিক ভেন্টিলেটর পরিষেবার ব্যবস্থা করল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।


ধূম জ্বর, কাশি,শ্বাসকষ্ট, পেটখারাপ অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম প্রধান উপসর্গ। জলপাইগুড়ি জেলায় এই জাতীয় সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ল। বাচ্চা কোলে নিয়ে মায়েদের লম্বা লাইন দেখা গেলো জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা শিশু বহির্বিভাগে। রীতা সরকার নামে এক মহিলা জানালেন তার বাচ্চার গত ৩ দিন ধরে জ্বর কিছুতেই কমছে না। তাই আজ তিনি বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। 


শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা সুশোভন রায় জানালেন গড়ে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ শিশুকে দেখতে হচ্ছে। যাদের বেশিরভাগ জ্বর, কাশি,শ্বাসকষ্ট অর্থাৎ অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ  নিয়ে এসেছে। এদের চিকিৎসা চলছে। 


মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাক্তার কল্যান খাঁ জানালেন গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তরের যেই নির্দেশিকা এসেছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। ইতিমধ্যে তারা ফিভার ক্লিনিক চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন। একইসাথে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পেডিয়েট্রিক ভেন্টিলেটরের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যেই ব্যাবস্থা জলপাইগুড়িতে এই প্রথম। এই মুহূর্তে মাত্র একজন শিশু তীব্র  শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন অন্যান্য বছরে এই সময় যে সংখ্যায় শিশু এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসত এবারেও তেমন আছে। আক্রান্তের হার তেমন বাড়েনি। বাচ্চাদের জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসুন।


ব্যারাকপুর


অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের জন্য আলাদা করে ওয়ার্ড তৈরি করল ব্যারাকপুর  বি এন বসু মহকুমা হাসপাতাল। এখনওপর্যন্ত অ্যাডিনেভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বারাকপুর বি এন বসু হাসপাতাল ভর্তি ৩ জন শিশু। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে অনেক শিশুরা আসছে। 
অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরি, এমনটাই জানান হাসপাতাল সুপার ডা এনামুল হক।


তথ্য-বিধান সরকার, দেবজ্যোতি কাহালি, নারায়ণ সিংহ রায়, সঞ্জয় রাজবংশী, অরূপ লাহা, প্রদ্যুত্ দাস ও বরুণ সেনগুপ্ত



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)