নিজস্ব প্রতিবেদন: জঙ্গলমহলকে অচল করে দিল আদিবাসী বনধ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে তার প্রভাব পড়ল মারাত্মক। বাতিল হল একাধিক লোকাল, এক্সপ্রেস। বহু ট্রেনের সময় পরিবর্তন হন। দিনভর নাকাল হলেন লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। সাঁওতালিকে জাতীয় ভাষা ঘোষণা। সঙ্গে আরও নয় দফা দাবি। আলো ফুটতেই জঙ্গলমহলের পরিবহণ অচল করে দিলেন আদিবাসীরা। সন্ধেয় হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। বেলদা স্টেশনে মেজাজ হারিয়ে একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত যাত্রীরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাঁওতালি ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি-সহ একাধিক দাবিতে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরে রেলের পরীক্ষা। অথচ আদিবাসীদের বিক্ষোভের জেরে ট্রেন অমিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে মেজাজ হারান সাধারণ যাত্রী ও পরীক্ষার্থী। হাওড়া স্টেশনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সকাল ৬টা থেকেই দুর্ভোগে দক্ষিণ-পূর্ব শাখার যাত্রীরা। আদিবাসীদের রেল রোকো আন্দোলনের জেরে একাধিক ট্রেন আটকে রয়েছে ট্রেন। উল্টো দিক থেকেও পরিষেবা বন্ধ। বাধ্য হয়েই একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আটকে রয়েছে ধৌলি, জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা। আটকে পড়েছে ইস্পাত, ফলকনামা এক্সপ্রেস। অবরোধে আটকে হলদিয়া, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস।           


ফুলকুশমা ও পড়াডিহিতে অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন বাঁকুড়ার নিত্যযাত্রীরা। ভোগান্তির এটাই শুরু। রেলপথ অবরুদ্ধ হতেই হাহাকার পড়ে গেল। খড়্গপুর-আদ্রা ও খড়্গপুর-টাটা সেকশনে চাকা থেমে গেল। দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে রেলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল রাজ্য। স্টেশনে স্টেশনে আটকে পড়ল বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। বহু লোকাল, প্যাসেঞ্জার, মাঝারি দূরত্বের এক্সপ্রেস বাতিল হল।


আরও পড়ুন- বিজেপির বনধে রাজ্য সচল রাখতে ব্যবস্থা শাসকের, পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপের