ইনজেকশন দিতেই রক্তবমি হয়ে মৃত্যু কিশোরের, ধুন্ধমার বেহালার হাসপাতাল
পরিবারের দাবি, এনকে সাহা নামে এক চিকিত্সক ওই কিশোরকে একটি ইঞ্জেকশন দেন এবং কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখে। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত বমি শুরু হয় বালকের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কিশোরের মৃত্যুতে উত্তপ্ত বেহালা। এদিন কিশোরেরকে ঘিরে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে তুলকালাম বাঁধে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৃত বালকের পরিবারের বচসাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তারাই পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে বমি করছিল বেহালা বকুলতলার বাসিন্দা সুদীপ্ত দাস। সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে তৃতীয়বার করোনার থাবা, সংক্রমণ নিয়ে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি তরুণী
পরিবারের দাবি, এনকে সাহা নামে এক চিকিত্সক ওই কিশোরকে একটি ইঞ্জেকশন দেন এবং কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখে। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত বমি শুরু হয় বালকের। অবস্থার অবনতি হলে, খোঁজ শুরু হয় চিকিত্সকের। কিন্তু তাঁর দেখা মেলেনি। সেই সময় কর্তব্যরত এক নার্স তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে পরিবারের অভিযোগ। এসবের মাঝেই শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং মারা যায়। এরপরই বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অভিযুক্ত চিকিত্সকের শাস্তির দাবি জানিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।