নিজস্ব প্রতিবেদন: খুন নাকি নেহাতই দুর্ঘটনা? নিমতা খুনে জোরালো হয়েছে রহস্য। যদিও মৃত দেবাঞ্জনের দাসের পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি তদন্তে পুলিসের গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জি ২৪ ঘণ্টায় সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই খুনের কিনারা করতে নড়েচড়ে বসল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সূত্রের খবর, গতরাতেই মৃতর বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন নিমতা থানার আইসি। পাশাপাশি এদিনই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও সেরেছেন তাঁরা। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এদিন কথা হয় সেই বৈঠকে। অবহেলায় পড়ে থাকা সমস্ত তথ্য প্রমাণ সংরক্ষণের চেষ্টাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। ঘটনার পর থেকেই নিমতা থানার সামনে পড়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। এবার প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হল সেটি। যদিও দীর্ঘদিন খোলা অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে গাড়িতে থাকা হাতের ছাপ-সহ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


দেবাঞ্জন দাসের পরিবারের অভিযোগ ব্রেক প্যাডেলের কাছেই মিলেছে বুলেটের টুকরো, ড্যাসবোর্ডের নীচে পাওয়া গিয়েছে গুলির খোল। ঘটনাটি কেন পুলিসকে তা ভাবাচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের  অভিযোগ, দশমীর দিন নিমতা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে হয়রানির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, আজ ফের থানায় অভিযোগ জানাবে মৃতর পরিবার।


আরও পড়ুন: আড়াই মাসের সম্পর্কেই কি বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে 'খুন' নিমতার যুবক? মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন


নবমীর রাতে বান্ধবীকে নিয়ে নাইটক্লাবে গিয়েছিল দেবাঞ্জন। তারপর রাত ২টো বেজে ৪ মিনিট নাগাদ বান্ধবীকে বিরাটির সর্দার পাড়ায় তাঁদের বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে এসেছিল দেবাঞ্জন। দেবাঞ্জনের ফোনের কল ডিটেইলস ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, বাড়িতে নামানোর পর রাত ২টো বেজে ৮ মিনিট নাগাদ বান্ধবীকে প্রথম ফোনটি করে দেবাঞ্জন। এরপর ২টো বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ আবার বান্ধবীকে ফোন করেছিল দেবাঞ্জন। কিন্তু সেইসময় ওই তরুণী আর ফোন ধরেনি। রাত ২টো ২১ মিনিট পর্যন্ত ফোনটি বেজে যায়। অর্থাৎ রাত ২টো ২১ মিনিট পর্যন্ত ফোনে অ্যাক্টিভ ছিল দেবাঞ্জন। পুলিসের দাবি, এরপরই বাড়ি ফেরার পথে বিরাটি ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নিমতার দাগা কলোনির বাসিন্দা দেবাঞ্জন দাস। তবে দেবাঞ্জনের পরিবার সেই দাবি মানতে নারাজ।