ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির রামনবমীর পর এ বার তৃণমূলের যজ্ঞ। সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় ধুমধাম করে যজ্ঞ করলেন অনুব্রত মণ্ডল। দাবি করলেন, তাঁর চেয়ে বড় হিন্দু কেউ নেই। বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এসবই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ঘাসফুলের পাল্টা রণকৌশল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।একান্ন পীঠের অন্যতম বীরভূমের সতীপীঠ কঙ্কালীতলা। অক্ষয় তৃতীয়ায় কামাক্ষ্যা থেকে পুরোহিত এনে, একান্ন কেজি কাঠ পুড়িয়ে যজ্ঞ করলেন অনুব্রত মণ্ডল। রামনবমীর দিন রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবিরের নজিরবিহীন মিছিল। বাদ যায়নি বীরভূমও। সে দিন পাল্টা হনুমান পুজোর আয়োজন করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।ক-দিন পরই ব্যারিকেড ভাঙায় সিউড়িতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে লাঠি চালায় পুলিস। তৃণমূল-বিজেপি চাপান-উতোরে সরগরম হয়ে ওঠে জেলার রাজনীতি। অনুব্রত মণ্ডল মুখে বলছেন, যজ্ঞ তিনি বছর-বছর করেন। কিন্তু, এ বারের পুজো-আচ্চা, বিজেপিকে রোখার কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনুব্রতর বক্তব্যেও সেই ইঙ্গিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বোর্ড মিটিংয়ে ধুন্ধুমার শিলিগুড়ি পুরসভা, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মেয়র অশোক ভট্টাচার্য


লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয় বীরভূম। নিচুতলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেই বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর বীরভূমে থমকে যায় বিজেপির উত্থান। উত্তরপ্রদেশে জয়ের পর এ রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা নতুন উদ্যমে মাঠে নেমে পড়েছেন। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে ঘাসফুলের সঙ্গে বিজেপির জোরদার টক্করের সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির মোকাবিলায় অনুব্রত মণ্ডল পাল্টা হিন্দুত্বের বার্তা দিচ্ছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বীরভূমে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ইদানিং তৃণমূল নেতাদের একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল-বিজেপি দু-দলই ঘুঁটি সাজাচ্ছে। পাল্টা হিন্দুত্বের বার্তা এখন ঘাসফুল শিবিরে রণ-কৌশলেরই অঙ্গ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন  দিনমজুরের স্ত্রী পর্ন ভিডিও, গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত