নিজস্ব প্রতিবেদন:  সভা ঘিরে যে অশান্তি হবেই, সেই আঁচ আগেই পেয়েছিলেন ভাঙড়বাসী। পাওয়ার গ্রিড ইস্যুতে অগ্নিগর্ভ ভাঙড়ে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সমাবেশ হওয়ার আগেই সিপিআইএমএল নেতার গ্রেফতারিতে এবার সেই আগুনে ঘি পড়ল। এদিন সিপিআইএমএল নেতা রাজু সিং-সহ ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন ভাঙড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বাজারে আসছে নতুন ১০ টাকার নোট, রয়েছে ‘চকোলেটি’ চমক


বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই থমথমে এলাকা। গ্রামের রাস্তার চর্তুদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বোমার খোল। বোমাবাজির ছাপ এখনও টাটকা। দোকানপাটও বেশ কিছু বন্ধ। পাড়ার মোড়ে কিছু লোকের জটলা। এলাকায় অচেনা লোক দেখলেই নিজেকে আড়াল করার আপ্রাণ প্রয়াস দেখা যাচ্ছে। ফের বুঝি শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি! এখন ভাঙড়ে এমনই আতঙ্কের ছবি।


গত কয়েকদিন ধরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। কখনও রাতভোর চলছে বোমাবাজি, কখনও আবার রাস্তায় জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে সভা করার কথা জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির। যদিও এই সভা প্রথমে ভাঙড়ে হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু অন্ততপুরে গণ্ডগোলের পর সেই সভা ভাঙড়ে করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিমিটি।


আরও পড়ুন: এশিয়ার দীর্ঘতম দ্বিমুখী সুড়ঙ্গপথ নির্মাণে অনুমোদন কেন্দ্রের


বৃহস্পতিবার সভার আগেই বেলঘড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সিপিআইএমএল নেতা রাজু সিং-কে। এছাড়াও অসমের পাওয়ার গ্রিড মুভমেন্টে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই গ্রেফতারিকেই ইস্যু করেছে তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, ভাঙড়ে অশান্তি ছড়ানোর জন্য বহিরাগতদের নিয়ে আসা হচ্ছে। যদিও এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে কমিটি। তাদের অভিযোগ, সভা বানচাল করতেই ছক কষছে শাসকদল।


এদিকে, এদিনের সভার আহ্বায়ক মির্জা হাসান বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেননি। আমরা সূত্র থেকে খবর পেয়েছি। পরিস্কার আলোচনা দরকার। সরকার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করুক, সে পথ এখনও খোলা রয়েছে।’