নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় আসছে প্রস্তাব। সোমবারই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে জনপ্রতিনিধি এবং বিরোধী দলনেতাদের একজোট হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানুয়ারিতেই প্রস্তাব পেশ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বামেরা সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে NRC, NPR, CAA বাতিলের দাবি জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যা বলেন, "সকলে এই আইনের বিরোধিতা করুন। বিভ্রান্তি দূর করতে প্রস্তাব আনছি। ১৬৯ ধারায় প্রস্তাব আনছে সরকার। আমি ইতিমধ্যেই আবদুল মান্নানকে ফোন করে জানিয়েছি, সুজন চক্রবর্তী এদিন ছিলেন না, নাহলে ওঁকেও বলতাম।" সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, "আমি দেখছি অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে কটূকথা বলছেন, নিন্দা করছেন। কিন্তু রাজনীতি নয়, গণতন্ত্র বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য। ২৭ তারিখ প্রস্তাব আনা হচ্ছে। ওইদিন যাতে প্রস্তাব গৃহীত হয় সেই আশা রাখছি। এই প্রস্তাবে জনপ্রতিনিধিরা, বিরোধী দলনেতাদের যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি।"


উল্লেখ্য, বামেরা সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও প্রশ্ন তোলার সুযোগ ছাড়ছে না। আর সংসদের সিলমোহর থাকায় আইন নিয়ে কনফিডেন্ট বিজেপি। সেপ্টেম্বরে বিধানসভায় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়। তখনও নতুন নাগরিকত্ব আইন চালু হয়নি। ৯ জানুয়ারি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে নয়া আইনের বিরুদ্ধে সর্ব সম্মত প্রস্তাব পাসের দাবি জানায় বাম-কংগ্রেস। তবে, স্পিকার আলোচনার অনুমতি দেননি। মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকে বলেছেন সিএএ তিনি মানেন না। তাহলে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে বাধা কেন? সমালোচনা শুরু করে দেয় বাম-কংগ্রেস। অবশেষে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজি। আর এরপরেই প্রস্তাব সফল করতে বিরোধী এবং জনপ্রতিনিধিদের যোগদানের আহ্বান জানালেন পার্থ চট্টপাধ্যায়।


বামশাসিত কেরালা ও কংগ্রেসশাসিত পঞ্জাব আগেই বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাস করিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও গেছে কেরালা সরকার। সেই মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছে পঞ্জাব। বামেদের দাবি, অ-বিজেপি শিবিরে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে, চাপের মুখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে রাজি হয়েছেন। সূর্যকান্ত মিশ্রর দাবি, কেরালার মতো বাংলাও সিএএর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাক। তবে, বিরোধীদের এসব চেষ্টাকেই কটাক্ষে উড়িয়ে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।