কিরণ মান্না: প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের সৈকত সরণি। অভিযোগ, কোনওরকম নোটিস এবং ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ব্যক্তিগত জমি দখল করে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে মৎস্যমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক অখিল গিরির কাছে গেলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা। নিরুপায় হয়ে জমির মালিক শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিঘা সি-হক গোলা থেকে মোহনা পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের রাস্তা তৈরির সময় অন্যের রায়তি জমি না জানিয়ে অধিগ্রহণ করা সহ ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী, এলাকার বিধায়ক তথা বর্তমানে মন্ত্রী অখিল গিরি সহ উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে বারে বারে ছুটে কোন সুরাহা হয়নি। উলটে মন্ত্রী অখিল গিরি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেন বলে গুরুতর অভিযোগ জমির মালিক শেখ এঝারুলের। যে কারণে বর্তমানে তিনি দিশেহারা এবং অসহায়। 


এঝারুলের আরও অভিযোগ, উন্নয়ন পর্ষদের ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর পাত্রের কাছে গেলে তিনি মোটা অংকের টাকা উৎকোচ চান। যদিও বা ওই ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর পাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন রাস্তা পর্ষদ তৈরি করেছে, এটা ঠিক। কিন্তু ওই মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের দায়িত্বে তিনি ছিলেন না, ছিলেন অন্য ইঞ্জিনিয়ার। কীভাবে রাস্তা তৈরি হয়েছে, জমি কীভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সবই পর্ষদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। জানার কথাও নয়। সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজখবর নিলে পরিষ্কার বোঝা যাবে। তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।


অগত্যা কোনও উপায়ান্তর না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জমি মালিক শেখ এঝারুল। এই নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল নাগাদ দিঘা মোহনা থেকে ওল্ড দিঘা সি-হক ঘাট পর্যন্ত একটি পাকা রাস্তা তৈরি করে ডিএসডিএ। একেবারে সমুদ্রের ধার বরাবর ওই রাস্তাটিও পরবর্তীকালে সৈকত সরণির সঙ্গে জুড়েছে। কাঁথি-১ ব্লকের বাসিন্দা শেখ এঝারুল দাবি করেছেন, দিঘার গঙ্গাধরপুর মৌজায় পৃথক দাগে ৪১ ডেসমিল সম্পত্তি রয়েছে। দলিল এবং রেকর্ডভুক্ত এই সম্পত্তির অধিকাংশ অংশ ২০১৯ সালে দখল করে রাস্তা তৈরি করে ডিএসডিএ। এরপর সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েও কিছুই জোটেনি। দেওয়া হয়নি বিনামূল্যে স্টলও।


আরও পড়ুন, Shantiniketan Gang Rape: তুলে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণ শান্তিনিকেতনে! নাম জড়াল নামকরা রিসর্টের



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)