নিজস্ব প্রতিবেদন : "আমার পক্ষে আর দেওয়া সম্ভব নয়। তোমরা সবসময়ই এই দাও, ওই দাও করছ। সবটাই সরকার যেন বিনা পয়সায় করে দেবে!" ডিএ মামলায় স্যাটের রায়ের বেরনোর পরই মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক সভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, আজ রায় দিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল স্পষ্ট জানিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে। এইজন্য ৩ মাসের মধ্যে রাজ্যকে নয়া আইন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ডিএ সংক্রান্ত সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে স্যাট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এরপরই মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলতে শোনা যায়, "সরকার ট্যাক্স বাড়াবে না। বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না। জলের দাম বাড়াবে না। বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাবে। বিনা পয়সায় শিক্ষা, ২ টাকা কেজি দরে চাল দেবে। এত টাকা কোথা থেকে আসবে? সরকারটা চলবে কোথা থেকে?" মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "১২৩ শতাংশ ডিএ রাজ্য সরকার দিয়েছে। এরপর এবছর ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হবে। তারমধ্যে পে কমিশনও আসছে।"


প্রশ্ন তোলেন, "এই পরিস্থিতিতে সরকার পরিকাঠামো কোথা থেকে করবে? হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা মাইনে কোথা থেকে দেবে?" মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "দিতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু টাকা না থাকলে কোথা থেকে দেব? আট বছর আগে এক তারিখে মাইনে পাওয়া যেত না। এখন পাওয়া যায়। পেনশন পাওয়া যায়। সরকার একটা কাজের কারণে দু বার টাকা খরচ করতে পারবে না। " এরপরই রাজ্য সরকারের অর্থাভাবের জন্য বিগত বাম সরকারকে দায়ি করতে দেখা যায় মমতাকে।


আরও পড়ুন, কেন্দ্রের সমহারেই ডিএ, স্পষ্ট জানিয়ে দিল স্যাট, বড় জয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "খরা কি বন্যার সময়, দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে যে সাহায্য দেওয়া হয়, তা ট্রেজারি থেকেই আসে। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে? এগুলো ধরে রাখতে হয় সরকারকে।" রাজ্য কোষাগারের 'হাঁড়ির হাল' দশার জন্য ৩৪ বছরের বাম জমানাকেই দায়ি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "২০০৬-০৭ সাল থেকে আগের সরকার ঋণ নিয়েছে। ইরেসপনসিবল কাজ করা ঠিক নয়। যাতে ৩০ বছর পর ফল ভোগ করতে হয়।" তোপ দাগেন, "আগের সরকার ২০০-৪০০ টাকা বেতন দিয়ে বসিয়ে দিয়েছিল। এখন তারা আন্দোলন করছে।"