অধীর রায়: রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ। এবারের নবর্বষে আনন্দ নেই । আছে শুধু আতঙ্ক; খেতে না পাওয়ার যন্ত্রণা,  রয়েছে আয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক। বিশ্ব জুড়েই প্রতিদিন সেই আতঙ্কের ছবি ফুটে উঠেছে। আগামী দিনে খাবে কী? সেই আতঙ্কে ভুগছেন কয়েক লক্ষ খুচরো ব্যবসায়ী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাঁচরাপাড়া মার্কেট। এই মার্কেটটিতে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার ব্যবসায়ী আছেন। পুজোর দু’মাস এবং চৈত্র সেলের দু’মাস অর্থাত্ বছরে মোট চার মাস ব্যবসা করে সংসার চালান তাঁরা। করোনাতে লকডাউন। লকডাউন হয়ে গেছে ব্যবসাতেও।


চৈত্র সেলে ব্যবসার প্রস্তুতি ফেব্রুয়ারি থেকে নিতে শুরু করেন কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীরা। মালপত্র  তোলা হয়ে গিয়েছে। সেলের মার্কেট জমে ওঠার আগেই লকডাউন। কাঁচরাপাড়া জুড়ে শুধু সেলের বিজ্ঞাপন। প্রায়  সব দোকানের সামনে লেখা  ৫০% - ৪০% ছাড়ের বোর্ড ঝুলছে। কোথাও আবার লেখা কেনার উপর বিশেষ ছাড়। কিন্তু এগুলো সবই সাইনবোর্ড হয়েই থেকে গেল। করোনার জন্য রাজ্য জুড়ে লকডাউন। সব দোকানে ঝাপ বন্ধ। মাঠে মারা গেল সেলের ব্যবসা। বলছেন ব্যবসায়ীরা।


আরও পড়ুন- রাজ্যে করোনায় মৃত্যু আরও ২ জনের, আক্রান্ত ৯৫


ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘এই কাঁচরাপাড়া মার্কেটে তিনটি জেলার লোক কেনাকাটা করতে আসে । উত্তর চব্বিশ পরগনা,  নদিয়া আর হুগলির মানুষ এখানে  আসেন কেনাকাটা করতে। সারা বছর খুব ভিড় থাকে। কিন্তু পুজো আর চৈত্র সেলে এখানে লোক দাঁড়ানোর জায়গা দেওয়া যায়  না।’ পাঁচ মাসের অন্নসংস্থানে জন্য চৈত্র সেলের উপর নির্ভর করে প্রায় সাড়ে ৬৭ হাজার ব্যবসায়ী। অঙ্কের হিসেবে এই কেনাবেচার উপর নির্ভরশীল প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সেলের কেনাবেচা  শুরুর আগেই লকডাউন। 



মাথায় হাত তপন, প্রভাত, লাল্টুদের। তাঁরা জানান, মাল বিক্রি নেই। জমানো পুঁজি আটকে গেছে। বিক্রি বন্ধ, কী করে কর্মচারীদের মাইনে দেব। কী করেই বা নিজেদের সংসার চালাব। এইরকম সংকটের মুখোমুখি কোনদিন হইনি। তাই বুঝে উঠতে পারছি না কি করে সামাল দেব। বড় ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতি সামলে নিলেও না খেতে মরে যাওয়ার উপক্রম হাজার হাজার খুচরো ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে   কাঁচরাপাড়া হকার্স ইউনিয়নের দাবি, যদি সরকার  কোনওভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে বেঁচে যাবে কয়েক হাজার পরিবার।