প্রসেনজিৎ মালাকার: 'আমার কিছু বলার নেই'। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মন্তব্য শুনে হেসে ফেললেন অমর্ত্য সেন। বললেন, 'এমনটা ভাবলে উনার চিন্তাশক্তি নিয়ে ভাবার কারণ আছে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'অমর্ত্য সেন নোবেলজয়ীই নন'! জমি বিতর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ব্যাখ্যা, 'নোবেল প্রাইজের যে ডিড তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা আছে ৫ জনকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হবে। যে ৫টি বিষয়ে নোবেল দেওয়ার কথা, সেগুলি পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য আর বিশ্বশান্তি। এর বাইরে আর কেউ নোবেল পাবেন না'। 


আরও পড়ুন: Malda Murder: স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গ্রামের এক মহিলাকে কুপিয়ে খুন...


১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান অমর্ত্য সেন। উপাচার্য বলেন, 'পরবর্তীকালে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এগিয়ে আসে। তাঁদের অর্থে একটি পুরস্কার চালু হয়। যার নাম ব্যাঙ্ক অব সুই়ডেন প্রাইজ় ইন ইকনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল। সেটাকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'অমর্ত্য সেন আদালতে যাচ্ছে না, কারণ গেলেই হেরে যাবেন। আমাদের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিক'।  


এদিন জমি ফেরত চেয়ে ফের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেন বলেন, 'আদালতে যাচ্ছি আমি বলিনি। আমি উপাচার্যকে আদালতে যেতে বলেছি। উপাচার্য কী বললেন, সে নিয়ে আমার মাথা ঘামানো কারণ নেই'।



ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সেদিন শান্তিনিকেতনে অর্মত্য সেনের বাড়ি 'প্রতীচী'র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ, 'বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য। সেই জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হচ্ছে'। এমনকী, অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)