Nadia: যাবেন কেদারনাথ, পা রেখেছেন সাইকেলের প্যাডেলে! শান্তিপুর থেকে উত্তরাখণ্ডের পানে অমিত রায়...
Nadia: এখন পাহাড়ে দুর্যোগ চলছে। বৃষ্টি, বন্যা, ধসে বিপর্যস্ত এলাকা, বিপন্ন তীর্থযাত্রীদল। কিন্তু তাতে দমে যায়নি একুশের অমিতের মন। অবলীলায় তিনি পা রেখেছেন সাইকেলের প্যাডেলে। তাঁর লক্ষ্য কেদারনাথ।
বিশ্বজিৎ মিত্র: বছরের অর্ধেক দিন খোলা, অর্ধেক দিন বন্ধ। তাই কেদারমন্দির নিয়ে ভক্ত-পুণ্যার্থী-পর্যটকদের অমোঘ আবেগ। যেভাবে হোক তাঁরা পৌঁছতে চান একবার। মে মাস থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে, চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। সেই হিসেবে আর সাড়ে চারমাসের মতো সময় হাতে। এখন অবশ্য পাহাড়ে দুর্যোগ চলছে। বৃষ্টি, রাস্তাধসে বিপর্যস্ত তীর্থযাত্রীদল। কিন্তু তাতে দমেনি একুশের অমিতের মন। অবলীলায় তিনি পা রেখেছেন সাইকেলের প্যাডেলে।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বেরিয়েই দোরগোড়ায় দাঁতালের সঙ্গে দেখা! এলাকায় আতঙ্ক...
তিনি অমিত রায়। 'শেষের কবিতা'র নন, শান্তিপুরের। সাইকেল চালিয়ে কেদারনাথ যাবেন ঠিক করেছেন। নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লীর বছর একুশের কলেজপড়ুয়া অমিত রায়। আজ, বুধবার তিনি পাড়ি দিলেন কেদারের উদ্দেশ্যে।
ছোট থেকেই সাইকেল চালাতে ভালো লাগত অমিতের, এখনও লাগে। তাই স্কুলজীবন শেষ করে কলেজে পা রাখলেও সাইকেলকে ভুলতে পারেননি অমিত। সাইকেল চালিয়ে রাজ্যর বিভিন্ন প্রান্ত চষে ফেলেছেন। সাইকেলে অমিতের ইতিমধ্যেই ঘোরা হয়ে গিয়েছে হাজারদুয়ারী, বোলপুর, শান্তিনিকেতন, দিঘা-সহ বেশ কিছু জায়গা।
আরও পড়ুন: হাজার বছরের পুরনো শৈব তীর্থ? জানুন ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মন্দিরের বিশেষ রহস্য-কথা...
তবে এবার লক্ষ্য দূরের। অমিতের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। অমিতের পারিবারিক উপার্জন খুব বেশি নয়। তবে টাকার জন্য আটকাচ্ছে না। তাঁর দীর্ঘ যাত্রাপথের সমস্ত রকম আর্থিক সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর বন্ধুরাই। আজ, বুধবার বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন অমিত। সঙ্গে নিয়েছেন কিছু খাবার ও ওষুধপত্র। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আজ সকাল আটটা নাগাদ নৃসিংহপুর ফেরিঘাট পেরিয়ে রওনা দেন অমিত। তার আগে ফেরিঘাটেই শেষ দেখা বন্ধুদের সঙ্গে। অমিতের বন্ধুদের আর্জি, অমিত যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।