নিজস্ব প্রতিবেদন: গতবছর অগাস্টে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। বছর কাটলেও দলে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার রাতে সেই শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, একুশের লড়াইয়ের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাইছে দল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: অমিতের 'গোপন কথা' হাটেবাজারে করলেন BJP MP সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা


গতবছর অগাস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে দলের সঙ্গে মনোমালিন্য লেগেই রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডা বা অমিত শাহ- কারও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি তাঁদের। বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছিল, শোভনবাবুর ভূমিকাটা ঠিক কী? মাঝে আবার এও শোনা গিয়েছিল, তৃণমূলেই ফিরছেন শোভনবাবু। সূত্রের খবর, পিকে-র আপত্তিই নাকি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে তৃণমূলের পথে আর যেতে পারেননি শোভন-বৈশাখী।


শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। পুরসভা, মন্ত্রক সামলানোর পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার একাংশে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন শোভনবাবু। তাই তাঁকে সক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা। শোভনের মানভঞ্জনে বৈশাখীকে রাজ্য কমিটিতেও আনা হয়। তা সত্ত্বেও জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরে গরহাজির ছিলেন তাঁরা।


অক্টোবরেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) পদ থেকে সরানো হয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। সুব্রতবাবুর সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায় ছিল বলে কানাঘুষো। সুব্রতর জায়গায় এসেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। শোভনকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও চায়, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র একুশে বিজেপিকে ভরসা দিন। সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতেই শাহের সঙ্গে শোভনবাবুর বৈঠকের উদ্যোগ। 


বিজেপি সূত্রে খবর, শোভনবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তাঁকে দলের কাজে নেমে পড়ার বার্তা দিয়েছেন শাহ। কথা বলে বেশ খুশিই শোভনবাবু। সুব্রত চট্টোপাধ্যায় সরে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে কাজ করাও সহজ। শোনা যাচ্ছে, এবার সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির একাংশ আবার বলছে, অনেকবারই তো একথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দেখা মেলেনি। এবারও না আঁচালে বিশ্বাস নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ঘটা করে নেওয়ার পর বিজেপির বস্তুত কোনও লাভই হয়নি। তাঁর মান ভাঙাতে ভাঙাতেই বছর ঘুরে গিয়েছে। এতে বিড়ম্বনা বেড়েছে বিজেপির। সে কারণের তাঁকে সক্রিয় করে মুখরক্ষার মরিয়া চেষ্টা।