গুরুংয়ের মৃত্যুতেই প্রতিশোধ চান, `শানু`কে পাশে বসিয়ে সেই ছবি দেখাবেন বিউটি
নিজস্ব প্রতিবেদন : মোবাইলে ছবিটা আঁকড়ে ধরেই বসে ছিলেন বিউটি। গুরুংঙের দেহরক্ষীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে স্বামীকে। কিন্তু মন কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছে না সেকথা। গুলিতে যেভাবে চোখের পাশ ঘেঁষে তাঁর স্বামীর মাথা এঁফোড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে, ঠিক সেভাবেই যেন "গুলিতে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় বিমল গুরুং"। এটুকুই চান শহিদ অমিতাভ মালিকের স্ত্রী বিউটি। বলেন, গুরুংকে ধরার কথা বলতেন তাঁর স্বামী অমিতাভ। অমিভাভের বিশ্বাস ছিল, তিনিই গুরুংকে ধরবেন।
আরও পড়ুন, সূত্র খুঁজতে লিম্বু বস্তি যাচ্ছেন রাজ্য পুলিসের শীর্ষকর্তারা
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কিন্তু তবু একটানা স্বামীর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলি আউড়ে চলেছেন বিউটি। মধ্যগ্রামের মেধাবী ছাত্র অমিতাভ মালিক। ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি না করে, দেশের জন্য কাজ করার তাগিদে যোগ দিয়েছিলেন পুলিসবাহিনীতে। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের অদূরে লিম্বু বস্তিতে গুরুংকে ধরার জন্য পুলিসি অভিযানে মৃত্যু হয় সাব ইনসপেক্টর অমিতাভ মালিকের। সেই মুহূর্ত থেকে বদলে যায় বিউটিদেবীর জীবন। তাঁর ওপর দিয়ে যেন তোলপাড় করা ঝড় বয়ে গিয়েছে গত দু'দিনে।
বিউটি বলেন, অমিতাভের স্বপ্ন ছিল ডিএসপি, এএসপি হওয়া। ৩৬ বছর বয়সে ডিএসপি হয়ে প্রিয় 'মন্তাই'কে নিয়ে পুলিস কোয়ার্টার থেকে ডিএসপি বাংলোয় নিয়ে যাবেন, আশ্বাস দিয়েছিলেন 'শানু'। এএসপি-র কনভয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে স্ত্রী বিউটিকে পাশে বসিয়ে নিয়ে যাবেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন অমিতাভ। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক মেধাবী ছাত্র অমিতাভ যে কেরিয়ারের যেকোনও দিকে সফল হবেন, স্বামীর উপর সেই বিশ্বাস ছিল বিউটির।
আজ প্রিয় 'শানু' নেই। অপারেশনে গিয়ে শহিদ হয়েছে স্বামী। কিন্তু অবুঝ মন বার বার তাঁর স্মৃতি হাতড়ে চলেছে...
আরও পড়ুন, পাতলেবাসে গুরুংয়ের খাসতালুকে আগুন