বুক পকেটে রাখা নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন! ধোঁয়া বেরোতে দেখেই হতভম্ব প্রৌঢ়
নিতান্তই দেহাতি মানুষটা হয়তো পুরো বিষয়টা বুঝে উঠতে পারেননি তখনই। ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান অন্যান্যরাও!
নিজস্ব প্রতিবেদন: চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পাড়ার অন্যান্য বন্ধুরাও। জমে উঠেছে আড্ডা। চায়ের প্লেটটা এগিয়ে দিতে গিয়ে বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেছিলেন দোকানদারই। চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, ‘দাদা, জলদি জামাটা খুলুন। কী হয়েছে আপনার! জামার পকেট দিয়ে ধোঁয়া কীসের!’ নিতান্তই দেহাতি মানুষটা হয়তো পুরো বিষয়টা বুঝে উঠতে পারেননি তখনই। ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান অন্যান্যরাও! জামার বুক পকেট থেকে মোবাইলটা বার করা মাত্রই পরিষ্কার হয় বিষয়টি। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মাত্র চার মাস আগে কেনা নামি ব্র্যান্ডের দামী অ্যানড্রয়েড মোবাইলটি।
আরও পড়ুন: শুরু আজ, চলবে পুজোতেও! নিম্নচাপের বৃষ্টিতে পুজোর কোন কোন দিন ভিজবে কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ জেনে নিন
হুগলির চুঁচুড়া স্টেশন এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দ ভৌমিক। এলাকারই একটি মোবাইলের দোকান থেকে নামি ব্র্যান্ডের অ্যানড্রয়েড মোবাইল কিনেছিলেন। আগে বার ফোন ছিল, এই প্রথম শখে অ্যানড্রয়েড মোবাইলটি কিনেছিলেন তিনি। সাধের মোবাইলের বয়স হয়েছিল মাত্র চার মাস! কিন্তু তার মধ্যেই যে এই ঘটনা ঘটবে, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বাজার সেরে চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসেন তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর জন্য চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছিলেন প্রৌঢ়ের বাকি বন্ধুরাও। আড্ডা বসে। দোকানি চায়ের প্লেটটা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসেন। তিনি দেখেন অরবিন্দবাবুর জামার বুক পকেট থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই চিত্কার করে ওঠেন তিনি। জামা খুলে মাটিতে ফেলেন অরবিন্দবাবু। পরে পকেট থেকে মোবাইলটি বার করে দেখেন, সেটি থেকেই ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
মোবাইলটির ব্যাটারি ও সার্কিট পুরো পুড়ে গিয়েছে। কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে সেখান থেকেই। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব অরবিন্দবাবু। বাকি সঙ্গীরাও স্তম্ভিত। রাতে শুতে যাওয়ার আগে মোবাইলটি চার্জে বসিয়েছিলেন। সকালে বাজারে যাওয়ার আগে সুইচ অন করে মোবাইলটি জামার বুক পকেটে নিয়ে বেরিয়ে যান। মোবাইলটি যে ফেটে যাওয়ার আগেই বিষয়টি খেয়াল করা গিয়েছে, তাতেই রক্ষা! ইশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অরবিন্দুবাবু। সঙ্গে এও বললেন, ‘আমার বার ফোনই ভালো। অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারের ইচ্ছেটা গেল।’