নিজস্ব প্রতিবেদন:ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিতে আজ মহাকরণ অভিযানে নেমেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন। পাশাপাশি আজই আনিসকাণ্ডে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৩ পুলিসকর্মীকে। এর মধ্য়েই ঘটনার তদন্তে আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছে গেল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(SIT)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে সিট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটের পর আমতায় আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছায় সিট-এর তদন্তকারীরা। সবেমিলিয়ে ওই দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। এদের মধ্যে তিন আইপিএস। তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইপিএস প্রদীপ যাদব। এছাড়াও রয়েছেন আইপিএস মিরাজ খালিদ ও জয়েন্ট সিপি ব্যারাকপুর আইপিএস ধ্রুবজ্যোতি দে।


সিট পৌঁছতেই তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের লোকজন। বাড়ি গিয়ে সিটের সদস্যরা আনিসের বাবা ও অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলেন মিরাজ খালিদ। পাশাপাশি তিনতলার ছাদের যে ফাঁকা জায়গা দিয়ে আনিসকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে সেই জায়গাটিও পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। সিটে রয়েছেন সিআইডি অফিসাররা। তারা পরীক্ষা করে দেখছেন ঠিক কতটা দূরত্বে পড়েছিল আনিস(Anis Khan)। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল আনিসকে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ঠিক কতটা দূরে পড়েছিল আনিসের দেহ। তদন্ত দলের সঙ্গে থাকা ফটোগ্রাফাররা প্রতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তুলে রাখছেন।



আনিস খানের বাবা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বারবারই বলছেন তারা রাজ্য সরকারের কোনও তদন্তের উপরে ভরসা করছেন না। তাঁরা চান সিবিআই তদন্ত। গতকাল পুলিস গিয়ে আনিসের মোবাইলটি চায়। সেটিও তারা পুলিসকে দিতে অস্বীকার করে। তবে আজ তারা সিটের তদন্তকারীদের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছেন।



সিট (SIT) তদন্তভার গ্রহণের পরই সাসপেন্ড করা হল আমতা থানার ২ পুলিসকর্মীকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে আমতা থানার এএসআই নির্মল দাস ও কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রমকে। একইসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। এদের ৩ জনকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে 'সাসপেন্ড' করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।



মৃত্যুর পর থেকেই পুলিসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ছাত্রনেতার পরিবার। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ একটাই, পুলিস-ই 'খুন' করেছে তাঁদের ছেলেকে। আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে তাঁরা। এদিন আমতা থানার এএসআই ও কনস্টেবল সাসপেন্ড হওয়ার খবর জানার পরও একইকথা বললেন তাঁর বাবা। তিনি বলেন, "আমার ছেলের জন্য আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার চোখের সামনে পুলিস আমার ছেলেকে খুন করে দিয়ে গেছে। সিবিআই তদন্ত চাই আমি। ওরা ৪ জন ছিল। ৩ জন ছাদে উঠে গিয়েছিল। ছেলের সঙ্গে ছাদে ৩ পুলিসকর্মী ছিল।" 


আরও পড়ুন-আনিসকাণ্ডে সাসপেন্ড ২ পুলিসকর্মী, এরাই কি গিয়েছিলেন ছাত্রনেতার বাড়িতে?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)