নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের পর আবারও ট্রেন লাইনে দুর্ঘটনার হাতছানি বীরভূমে। তবে, এবার বরাত জোড়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ২০ জন শ্রমিক। বীরভূমের নলহাটি ও স্বাধীনপুর রেল স্টেশনের মাঝে, রেলব্রিজ ধরে হেঁটে ফিরছিলেন ২০ জন আদিবাসী শ্রমিক। জানা গিয়েছে, বর্ধমানে চাষের কাজে গিয়েছিলেন এই দলটি। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশুও ছিল। লকডাউনের ফলে তাঁরা বর্ধমানে আটকে যায়।  ঝাড়খণ্ডের বারহারওয়ার বাসিন্দা ২০ জনের ওই শ্রমিকের দলটি বর্ধমান থেকে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশেই রওনা হয়েছিল দলটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: লকডাউনে আটকে পড়েছেন? রাজ্য সরকারের তরফে চালু হল এক্সিট ও এন্ট্রি ই-পাস, জেনে নিন


রেলপথ ধরে প্রায় ১২০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। লাইনে সে সময় একটি বগিযুক্ত ইন্সপেকশন ইঞ্জিন চলে আসে। চালকের নজরে আসায় দ্রুত ব্রেক কষেন চালক।  ব্রিজের ওপর লাইনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সময়মতো ব্রেক কষায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান শ্রমিকরা। কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এতটা পথ হেঁটে ফিরতে হচ্ছিল শ্রমিকদের? আবারও প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। 


আরও পড়ুন: টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রৌঢ়


প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে ঔরঙ্গাবাদে। কর্মাদ এলাকায় এক মালগাড়ির ধাক্কায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঔরঙ্গাবাদ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকরা  জানলায় একটি স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করতেন। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরতেই একসঙ্গে রেললাইন ধরে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। ভোররাতে ঔরঙ্গাবাদের কর্মাদ সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১৬ জনের। বরাত জোরে বেঁচে যান বেশ কয়েকজন।