`গ্রামের ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে`, গড়বেতায় বার্তা শুভেন্দু
নাম না করে কি কটাক্ষ অভিষেককে?
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'পান্তাভাত, মুড়ি খাওয়া গ্রামের ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে।' পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়বেতায় অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, '২০১১ সালের আগে আমিই সবচেয়ে বেশি গড়বেতায় এসেছি। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম বলছে, আমি নাকি কমফোর্ট জোনে রাজনীতি করছি। ফ্ল্যাটে থাকা লোকেদের অসুবিধা হচ্ছে, গ্রামের ছেলেটা রাস্তায় বেরিয়েছে।' নাম না করে কি কটাক্ষ অভিষেককে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসের জন্য রাজ্যের সাড়ে ৯ লাখ পড়ুয়াকে ট্যাব দেবে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
'শেষ হইয়া হল না শেষ...' সৌগত রায়ের মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করার পর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আগামীদিনে কোনও পথে হাঁটবেন তিনি?ধোঁয়াশা গাঢ় হচ্ছে ক্রমশই। বস্তুত, বুধবার রাতে খাস কলকাতার যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যান্ড, গোলপার্ক, গড়িয়াহাট, বাসন্তী দেবী কলেজ, রাসবিহারী মোড় এবং সাদার্ন এভিনিউর একাধিক জায়গায় পোস্টার দেন 'দাদার অনুগামী'রা। বৃহস্পতিবার সকালে আবার সাংসদ মালা রায়-সহ এলাকার বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের নির্দেশে সেই পোস্টারগুলি খুলে ফেলেন তৃণমূলকর্মীরা। কারা পোস্টার দিল? তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। এসবের মাঝেই যথারীতি অরাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু।
ঘড়িতে তখন সকাল ১১.৪৫। বৃহস্পতিবার, ১৩১ জন্মদিন উপলক্ষ্যে তমলুকে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে শুভেন্দু। এরপর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে হেঁটে চলে যান হ্যামিল্টন স্কুলে। সেখানে একটি জনসভায় বলেন, 'আই অ্যাম সন অব বেঙ্গল, ফর দ্য পিপল।' কিন্তু রাজনীতির প্রসঙ্গ তোলেননি তিনি। পদযাত্রায় এত বিপুল সংখ্যাক অনুগামী কেন? জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির প্রশ্নের মুখে শুভেন্দুর সোজাসাপ্টা জবাব, 'আমি সেসব নিয়ে কথা বলব কেন?সেকথা মানুষ বলবেন।'
আরও পড়ুন: বড় খবর! তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে 'সরছেন' শুভেন্দু!
উল্লেখ্য, তমলুকে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। এই সংগঠনের সভাপতি শুভেন্দু নিজেই। সকালে কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে বিপ্লবীর প্রতিমূর্তি মাল্যদান করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেখানে না গিয়ে সোজা হাজির হন তমলুকে। তমলুক থেকে গড়বেতা।