Anubrata Mandal: পাইলসের চিকিৎসা করাতে মরিয়া অনুব্রত, এবার নয়া `কেষ্টলীলা`!
সূত্রের খবর, এবার রক্ষাকবচের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। সম্ভবত তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন। জিজ্ঞেসবাদ করা হলেও যাতে তাঁকে গ্রেফতার না করা হয়, সেই আবেদন জানাতে পারেন অনুব্রত। শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পীঠের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধারের কাছে নাকি অপারেশনের আবেদন জানিয়েছেন `কেষ্টদা`। দীর্ঘদিন ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পীঠের সঙ্গে পাইলসের অপারেশনের বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন।
প্রসেনজিৎ মালাকার: গোরুপাচার কাণ্ডে (Cattle/Cow Smuggling Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার ডাকছেন সিবিআই (CBI)-এর তদন্তকারীরা। দশম নোটিসের পরেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এসএসকেএম হাসপাতালে ঠাঁই না পেয়ে, বীরভূমের বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকে ডেকে পাঠান জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি। যা নিয়েওতরজা তুঙ্গে। এরই মধ্যে 'কেষ্টলীলা'তে নয়া সংযোজন; শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ। শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে এমনকিতেই বিড়ম্বনায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এর মধ্যে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বক্তব্যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তিনি। এই পরিস্থিতিতে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পীঠের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)।
মেডিক্যাল কেলেজের কর্ণধারের কাছে নাকি অপারেশনের আবেদন জানিয়েছেন 'কেষ্টদা'। দীর্ঘদিন ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পীঠের সঙ্গে পাইলসের অপারেশনের বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পীঠ। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'ওঁর একটা অপারেশনের কেস রয়েছে। আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজে সেই বিষয়ে ডাক্তার রয়েছে কিনা। থাকলে উনি দেখাবেন। কোথায় অপারেশন করলে ভালো হবে, সেটা জানতে চান। শীঘ্রই অপারেশন করাবেন। আমি বলেছি বিষয়টা চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা কে জানাব। ইনি এলে আমরা দেখে দিতে পারব।'
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন মলয়বাবু। তিনি বলেন, "পরিস্থিতি আমরা সবাই দেখছি, সবাই বুঝছি। বীরভূমের মধ্যেই একটা আলোচিত বিষয়। কী হচ্ছে, কী হবে, আমরাও ধন্দে রয়েছি। কেমন আছেন বলতে, একটা মানুষ ক্রমাগত যদি বিপদের সম্মুখীন হন, সুগার রয়েছে, প্রেসার রয়েছে। অবশ্যই মানসিক ভাবে তো ভেঙে থাকবেনই।" সূত্রের খবর, এবার রক্ষাকবচের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। সম্ভবত তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন। জিজ্ঞেসবাদ করা হলেও যাতে তাঁকে গ্রেফতার না করা হয়, সেই আবেদন জানাতে পারেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, টানাপোড়েনের মধ্যে মঙ্গলবার অনুব্রতর বীরভূমের বাড়িতে যান বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন তিনি। এরপর হইচই পড়ে যায়। যদিও চিকিৎসকের দাবি, সুপারের কথায় তিনি ওই কাজ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, তাঁকে বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন খোদ অনুব্রত মণ্ডলই। অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই তিনি ১৪ দিনের বেড রেস্টের পরামর্শ লিখে দেন। ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপও ভাইরাল হয়েছে। এই বিষয়ে বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) হিমাদ্রি আরি বলেন, 'এভাবে কারও বাড়িতে কোনও টিম পাঠাতে হলে অবশ্যই অনুমতির দরকার হয়। তবে এমন কিছুই গতকাল হয়নি। বাকি সুপার বলতে পারবেন। তিনি কার নির্দেশে পাঠিয়েছিলেন।'