নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কেউ বিজেপির দিকে ঘেঁষলেই গাঁজা পাচারের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার নিদান দিলেন তিনি। এদিন বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠকে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই অনুব্রত মণ্ডল বর্ধমানের আউসগ্রাম ব্লকের এক কর্মীকে উদ্দেশ্যে বলেন, "বিজেপি করে? ওকে এরেস্ট করিয়ে দে। গাঁজা কেসে ধরিয়ে দে।"
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল জানান, বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের ২৪টি ব্লকের প্রধান, উপপ্রধান এদিন ঠিক হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট ব্লকে দলের পর্যবেক্ষকরা নামগুলি ঘোষণা করবেন। যদিও অনুব্রতবাবু স্পষ্ট জানান, এক বছরের মধ্যে কোন প্রধান, উপপ্রধান যদি দুর্নীতি করে তাহলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দুপুরে বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক ছিল৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়,  চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ অন্যান্য নেতারা। 


বৈঠক শুরুর আগেই দলীয় কর্মীদের উপর বেশ কিছুটা ক্ষুব্ধ দেখায় অনুব্রতবাবুকে। সভাকক্ষে ঢুকেই বর্ধমানের আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারকে ইঙ্গিত করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "ফাইভ ম্যান কমিটি থেকে যে ছেলেটিকে বাদ দিয়েছিলাম ওকে এরেস্ট করিয়ে দে। সঙ্গীতা না কি নাম কে আছে। বিজেপি করে, ওকে এরেস্ট করিয়ে দে। গাঁজা কেসে ধরিয়ে দে।" 
এরপরেই পাশে বসে থাকা দলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহকে নির্দেশ দিতে অনুব্রতবাবু বলেন, "আউসগ্রামের আইসিকে ফোনে ধর, বর্ধমান এসপিকে ফোনে কর। ধরিয়ে দিই।"  


সোশ্যাল মিডিয়ায় মা-মেয়ের সুপার ইম্পোজ করা ছবি ছড়ানোর অভি‌যোগে গ্রেফতার ‌যুবক


ক্ষুব্ধ অনুব্রতবাবু বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারকে উদ্দ্যশ্য করে বলেন, "কি রে কন্ট্রোল করতে পারবি৷ চেষ্টা নয়। পারবি, কি পারবি না বল।" 
প্রসঙ্গত, এক মাস আগে আউসগ্রামে দলের পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি ফাইভ ম্যান কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় নামে এক কর্মীকে। এলাকায় এখন সে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত।