নিজস্ব প্রতিবেদন:  ‘’জল্লাদবাহিনীর কাছ থেকে হিন্দুত্ব শিখব না। আমাকে দয়া করে হিন্দুত্ববাদ শেখাতে আসবেন না।‘’ বীরভূমে  পুরোহিত সম্মেলনের মঞ্চ থেকে  নাম না করে ‘হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী’ বিজেপিকে চরম বার্তা দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পিকনিকে বচসা, ‘শ্লীলতাহানি’র প্রতিবাদে রেল অবরোধ, ধুন্ধুমারকাণ্ড দত্তপুকুরে


তিনি কি মঞ্চে উপস্থিত হবেন?  তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীদের উদ্দেশে কী বলবেন? বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে এমনই হাজারো প্রশ্ন জেগেছিল পুরোহিত সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের মনে। বলা বাহুল্য, এ প্রশ্ন কেবল পুরোহিতদের মনেই নয়, আম জনতার মনেও ছিল একই প্রশ্ন। কারণ, বীরভূমে তো বটেই, এই প্রথম রাজ্যে আয়োজিত হল পুরোহিত সম্মলেন। সৌজন্যে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার সকালে বীরভূমের ডাক বাংলো মাঠে প্রায় ৮ হাজার পুরোহিত উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর ডাকে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গীতা, নামাবলী ও উপঢৌকন।



জন সংযোগ বাড়াতেই যে এই ধর্মীয় সম্মেলন, তা প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিল তৃণমূলের তরফে। তবুও যিনি এই সম্মলনের আয়োজক তথা কাণ্ডারি, তাঁর বার্তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন আমন্ত্রিতরা। অবশেষে এল সেই 'মাহেন্দ্রক্ষণ'। পুরোহিত সম্মলনের মঞ্চে এলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এদিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় প্রধান বিরোধী দলকে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং তিনি ছিলেন অনেকটাই শান্ত। নাম না করেই তিনি বিজেপির উদ্দেশে বলেন, ‘ কোনও জল্লাদের কাছ থেকে হিন্দুত্ববাদ শিখব না আমি। আমার বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়, চারটে শিব মন্দির আছে। হিন্দুত্ববাদ শিখতে হলে আপনাদের (পুরোহিতদের) কাছ থেকেই শিখব। আপনারাই সবচেয়ে বড় হিন্দু। যদি ভুল বলে থাকি, তবে ক্ষমা করে দেবেন। ‘


আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির রেল ও সড়ক অবরোধ, আটকে উত্তরবঙ্গগামী বহু ট্রেন