নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদের নয়, দলের নেতাদেরই গ্রেফতার করে জেলে ভরার নিদান দিলেন বীরভূমের কেষ্ট। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের হাইস্কুলের মাঠের দলীয় সভায় অনুব্রত মণ্ডল জানান, আবাস প্রকল্পে গরিব মানুষের থেকে টাকা নিয়েছেন কয়েকজন অঞ্চল সভাপতি। দুজন অঞ্চল সভাপতি সে কথা স্বীকারও করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে জেলে পোরার নিদান দেন। আর একজনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সভামঞ্চে উঠেই ব্লক সভাপতি সেখ সালেক রহমানের কাছে সরকারি আবাসের হিসাব চান অনুব্রত। এরপরই সুর চড়িয়ে বলেন, ''খুব কষ্ট করে তৈরি হয়েছে দল। ৩৪ বছরে যা হয়নি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনরাত এক করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাত্র ৭ বছরে গোটা রাজ্যে উন্নয়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন''। বীরভূমের জেলা সভাপতি নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ''গরিব মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, প্রান্তিক চাষি ও মধ্যবিত্তদের ঘর করার জন্য টাকা দিয়েছেন মমতা। আর সেই ঘর তৈরির টাকা লুট করতে লজ্জা করে না! ঘর তৈরির জন্য পাঁচ দশ হাজার টাকা গরিব মানুষের কাছ থেকে নিতে হাত কাঁপছে না। এই সমস্ত নেতারা ভাবছে, প্যান্ট-শার্ট পরে ভদ্র লোক হয়ে থাকবে, কেউ জানবে না কেউ বুঝবে না। টাকা লুট করে ভদ্র লোক সাজবে''।


অনুব্রত হুঁশিয়ারি দেন, তাঁর কাছে সবার কাজের ফিরিস্তি আছে। পুরভোটে সব প্রকাশ করবেন। রাস্তা তৈরির পর ফের দরপত্র ডাকা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। বিষয়টি বিডিও ও বিধায়কদের নজর রাখতে নির্দেশ দেন।   


আরও পড়ুন- রথের গতি বাড়াতে সেই মোদীর মুখই সম্বল বঙ্গ বিজেপির