নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগে দায়িত্ব বেড়েছে তাঁর। বীরভূম, বর্ধমানের সঙ্গে যোগ হয়েছে নদিয়া জেলার দায়িত্ব। আর দায়িত্ব নিয়েই অনুব্রত মণ্ডল বোঝালেন, জেলায় দলের নির্বাচনী ফলে মোটেও খুশি নন তিনি। তবে যেভাবে বোঝালেন তাতে নাখুশ দলের কর্মীদেরই একাংশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২৪ জানুয়ারি কৃষ্ণনগরে ছিল তৃণমূলের কর্মিসভা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় দলের ফলে মোটেও খুশি নয় দলীয় নেতৃত্ব। নদিয়া জেলায় তৃণমূলের নেতৃত্ব প্রথম থেকে দুর্বল। শঙ্কর সিংয়ের মতো নেতাকে দলে ভিড়িয়েও সংগঠনে তেমন জোয়ার আনতে পারেনি ঘাস ফুল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ভাবনা আরও বাড়িয়েছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে নদিয়া জেলার দায়িত্ব পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে দক্ষ সংগঠক অনুব্রত মণ্ডলের কাঁধে। 


কৃষ্ণনগরে আজব কাণ্ড! রোড রোলারে চড়ে বিয়ে করতে পৌঁছলেন পাত্র


সময় কম, তাই দায়িত্ব পেয়েই কাজে নেমে পড়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যে তাঁর ঘাড়ে রয়েছে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্ব। তাতে কী, সব সামলে নদিয়া জেলায় ২টি সভা করে ফেলেছেন অনুব্রত। গত ২৪ জানুয়ারি কৃষ্ণনগরে একটি কর্মিসভা করেন তিনি। সেখানেই এক আজব কাণ্ড ঘটান তিনি। 



অনুষ্ঠান শুরু আগে তৃণমূলের প্রথা মেনে উত্তরীয় পরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে স্বাগত জানান কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অসীম সাহা। তখন অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। তেরঙ্গা উত্তরীয় গলায় পরাতেই তা দু'হাতে পিছনে ছুড়ে ফেলে দেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতার এহেন আচরণে হতবাক হয়ে যান মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারাও। 


যদিও এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ জেলার ঘাসফুল শিবিরের নেতা থেকে কর্মী। অনুব্রত মণ্ডল কেন একাজ করলেন তা নিয়ে কিছু বলতে নারাজ তারা। দলের একাংশের মতে, নদিয়ায় দলের সাংগঠনিক অবস্থায় যে তিনি খুশি নন তা প্রথমেই বোঝাতে এমন আচরণ করেছেন অনুব্রত। তবে নেতার এহেন অসৌজন্যে ক্ষোভ জমেছে তাদের ভিতর।