নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাঙড়ের পোলেরহাট পঞ্চায়েত অবশেষে আরাবুল- হাকিমুলের হাতেই গেল। সরকারি ভাবে মঙ্গলবার ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের দায়িত্ব অর্পিত হল নবনির্বাচিত প্রধান উপপ্রধানের হাতে। ভাঙড় ২ নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৌশিক কুমার মাইতির হাত থেকে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব বুঝে নেন বর্তমান প্রধান সবিতা সর্দার ও উপপ্রধান হাকিমুল ইসলাম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



উল্লেখ্য,  নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির পর গত ১৪ই আগস্ট ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী বোর্ড গঠন হয়। উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কড়া নিরাপত্তায় জয় ছিনিয়ে নেয় আরাবুল এন্ড কো টিম। তারপরও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টালবাহানার পর আদালতের নির্দেশে গত বুধবার ছিল বোর্ড গঠন। পোলেরহাট দুই নম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ডে আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুলকে রাখা যাবে না বলে দাবি করে জমি রক্ষা কমিটি। এক্ষেত্রে কমিটি প্রধান হিসাবে তৃপ্তি বিশ্বাস নামে তৃণমূলেরই একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়।


আর এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ে। গত বুধবার সকাল থেকেই ভাঙড়ে স্লোগান উঠছে, আরাবুলের নেতৃত্বে বোর্ড কিছুতেই মানা হবে না। এমনকি রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। বিক্ষোভে সামিল হন মহিলারাও।


স্কুলের হোস্টেলের পিছন থেকে অর্ধনগ্ন বেহুঁশ মহিলা উদ্ধার, মদ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ


গণ্ডগোলের আশঙ্কায় এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। মোতায়েন করা হয় প্রায় ৮০০ পুলিস। পঞ্চায়েত সংলগ্ন প্রায় দুশো মিটার ২৫ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। অবশেষে প্রতিকূলতা কাটিয়ে ক্ষমতা যায় আরাবুল-হাকিমুলের হাতেই।


উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে জয়ী হয় জমি রক্ষা কমিটি। সেইসময়ই এলাকায় শান্তি রাখার আবেদন নিয়ে জেলাশাসকের কাছে দরবার করা হয়। স্থায়ী বোর্ড গঠন না করে প্রশাসন দিয়ে পঞ্চায়েত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯ মে প্রশাসন দিয়ে পঞ্চায়েত চালানোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২৫ জুন বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় জমি রক্ষা কমিটি। ১৪ অগাস্ট বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।