নিজস্ব প্রতিবেদন : হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে তোপ দাগেন তিনি। স্পষ্ট জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আগামিকালই FIR দায়ের করবেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অর্জুন সিং বলেন, "আমাকে সিপি তাঁর রিভলবারের বাট দিয়ে মাথায় মেরেছেন। প্রথমে ভেবেছিলাম লাঠি। পরে দেখলাম মারলেন। এ রাজ্যে কেউ সুরক্ষিত নয়। মহিলা, শিক্ষক, ডাক্তার, উকিল, সাংবাদিক- সকলেই আতঙ্কিত। সুরক্ষিত নয়।" তবে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে কোনও লাভ নেই বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। অসুস্থ শরীরেই অর্জুন সিং বলেন, "আমি যেদিন বিজেপিতে যোগদান করেছি, তারপর ৪৭টা মামলা রুজু করা হয়েছে। আরও ২ থেকে ৫টা করবে এবার। দেখি কবে সেঞ্চুরি হয়।"


এদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই সরাসরি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান অর্জুন সিং। জগদ্দল, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, শ্যামনগরে সংঘর্ষে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেলঘড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আক্রান্তদের কেউ কেউ। তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করেন সাংসদ। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেন, আন্দোলন চলবেই। কোনওমতেই আন্দোলন থেকে তাঁরা পিছু হটবেন না বলে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন অর্জুন সিং।


অন্যদিকে, অর্জুনপুত্র পবন সিং অভিযোগ করেছেন, ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিস তাদের কোনও কথা শোনেনি। আর তাই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন অর্জুন পুত্র। ভাটপাড়ার বিধায়কের সাফ দাবি, সেদিন তিনি বা তাঁর বাবা কেউই পুলিসের উপর হামলা করেননি। তাঁদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, ব্যারাকপুরে কাঠগড়ায় পুলিস সুপার, পিঠ বাঁচাতে সাফাই দিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা


বরং অর্জুন সিং আক্রান্ত খবর পেয়ে স্থানীয়রাই ক্ষেপে উঠেছিলেন। জনতার রোষের শিকার হয় পুলিস। অর্জুন সিং ও তিনি মিলে উত্তেজিত জনতাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করছিলেন। প্রসঙ্গত, পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে রবিবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শ্যামনগর ফিডার রোড। সংঘর্ষের সময়ই ইটের ঘায়ে মাথা ফেটে যায় অর্জুন সিংয়ের। আর তারপরই সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি।