Arpita Mukherjee, SSC Scam: টাকা রাখতে বাড়িতে মাটির নীচে বাংকার বানান অর্পিতা! বিস্ফোরক মামী

দেবব্রত ঘোষ: টাকা রাখার জন্য বাড়িতে মাটির নীচে বাংকার! হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় মথুরাবাটি গ্রামে বাংকার তৈরি বানিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অর্পিতার মামী স্বপ্না চক্রবর্তী। মথুরাবাটি গ্রামে মাস তিনেক আগে নতুন সাদা রঙের একতলা বাড়ি বানান অর্পিতা মুখার্জি। সেই বাড়িতেই নাকি মাটির নীচে বাংকার তৈরি করা হয়েছে। এমনই দাবি করলেন অর্পিতার মামী স্বপ্না চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, "রাজমিস্ত্রিদের মুখেই শুনেছিলেন বাংকার বানানোর কথা। সেই সময় এত গুরুত্ব দেননি। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে ওখানে টাকা লুকানো থাকতে পারে। তাই পুলিসের একবার তল্লাশি করা উচিত ওই বাড়িতে।" স্বপ্না দেবী আরও জানান, একসময়ে সেখানে অর্পিতার দাদু, মামা ও মাসি থাকতেন। পরে তাঁরা চলে যান। জায়গাটা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। সেই জায়গায় নতুন বাড়ি তৈরি করেন অর্পিতা। অর্পিতার নতুন বাড়ির সামনেই মামাবাড়ি। যার নাম সীতা ভবন। 

প্রসঙ্গত, পার্থ-যোগ এবার হুগলিতেও! হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামাদের নতুন বাড়ি তৈরি করে দেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। একটি নয়, দুটি বাড়ি তৈরি করে দেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। এবার সামনে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু বাড়ি তৈরি করে দেওয়া-ই নয়, 'অর্পিতা-পার্থ' যোগে তাঁর আত্মীয়দের চাকরি হয় বলেও অভিযোগে সরব গ্রামবাসীরা। অর্পিতার মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের পরই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আর তারপরই সামনে আসছে এমন অনেক টুকরো টুকরো ঘটনার কথা। 

হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাবাটি গ্রামে মামাবাড়ি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। মামা তপন চক্রবর্তী গ্রামে দরিদ্র বলেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু আচমকাই তাঁদের অবস্থা বদলে যায়। দরিদ্র দশা ঘুচে রাতারাতি বড়লোক হয়ে ওঠেন। ৪-৫ মাস আগেই নতুন বাড়ি হয় অর্পিতার মামাদের। পাশাপাশি, পুরনো বাড়িটিও মেরামতির পর একদম নতুন করে তোলা হয়। একসময় অর্পিতার যে মামাবাড়িতে দারিদ্র্যের ছাপ ছিল স্পষ্ট, বর্তমানে সেখানে বাড়িতে গাড়ি থেকে আরম্ভ করে অত্যাধুনিক অন্যান্য সুবিধা।

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, জাঙ্গিপাড়ার গ্রামে মামাবাড়িতে মাঝেমধ্যেই অর্পিতাকে নিয়ে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নতুন বাড়ি তৈরি করে দেন পার্থবাবু-ই। পাশে আরও একটি বাড়িও তৈরি করে দেন। এমনকি এই বাড়ি তৈরির জন্য জোর করে তাঁদের জমি দখল করে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করতেন অর্পিতা। ক্ষমতার ভয়ও দেখাতেন। তাই তাঁদের কেউ ঘাঁটাতে সাহস পেত না। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই একদিন চাকরি পেয়ে যান অর্পিতার মামতো ভাই কুন্তল চক্রবর্তী। অর্পিতার কারণেই পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন কুন্তল।