নিজস্ব প্রতিবেদন : খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম মূলচক্রী জেএমবি জঙ্গি আজহার আলিকে বরপেটা থেকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিস। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পেনড্রাইভ ও অসমের সীমান্তবর্তী এলাকার বেশকিছু নকশা। গ্রেফতারির পর ধৃত জেএমবি জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিস্ফোরক আনার দায়িত্ব ছিল আজহার আলি ওরফে আজহারউদ্দিন আহমেদের কাঁধে। ওপার থেকে এপারে বিস্ফোরক আনার বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা নিত এই আজহারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত ৫ বছর ধরে পলাতক ছিল আজহার। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দিল্লিতে এনআইএ-র তরফে ১২৫ জন জেএমবি জঙ্গির নামের একটি তালিকা বিভিন্ন রাজ্যের এটিএস ও এসটিএফ প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের সেই তালিকার একদম শীর্ষে ছিল আজাহারের নাম। গত এক মাস ধরে তার অবস্থান ও গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর পর গোপন সূত্র মারফত কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরো ও এনআইএ খবর পায় যে অসমের বরপেটা এলাকার তারবাড়িতে আসছে আজহার। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের চক্রীকে ধরতে সেইমতো ঘুঁটি সাজান গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন, ভোট দিতেই এলেন না বিজেপির কাউন্সিলররা, বিনা বাধায় নৈহাটি পুরসভা পুনর্দখল তৃণমূলের


খবর দেওয়া হয় অসম পুলিসকে। তারপরই বরপেটা এলাকা থেকে জেএমবি জঙ্গি আজহারকে গ্রেফতার করে অসম পুলিস। আজ ধৃত জঙ্গিকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় নয়, অসমেও একাধিক নাশকতার ঘটনায় আজহারের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অসমেরও বেশকিছু জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত আজহারের। আলফা, সংযুক্ত আজাদ ফৌজ, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বোরোল্যান্ড প্রভৃতি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আজহারের যোগযোগ ছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।