নিজস্ব প্রতিবেদন : বার বার যখন দলের সব নেতা, কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন হাওড়ায় তৃণমূল যুবর কর্মীসভায় দেখা গেল উল্টো ছবি। আমন্ত্রণ থাকলেও সভায় গরহাজির থাকলেন সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায় এবং সদরের সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন না অরূপ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলররাও। যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহল মহলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজকের কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলাই বাহুল্য যে অরূপ রায় ও ভাস্কর ভট্টাচার্যের সভায় অনুপস্থিতি মোটেই ভালোভাবে নেননি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথার ইঙ্গিতে বরং উঠে আসে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ। এদিনের সভায় অরূপ রায়ের অনুপস্থিতি সম্পর্কে নাম না করে তিনি বলেন, "সবার আগে দরকার টিম গেম। কেউ যদি বিচ্ছিন্নভাবে খেলে, তাহলে জেতা মুশকিল।" স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে প্রশ্ন ওঠে, "তাহলে কি হাওড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে?" এপ্রসঙ্গে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করে ব্রাত্য বসু বলেন, "যদি এই সভায় অরূপ রায় কিংবা অন্য নেতা-কর্মীরা না এসে থাকেন, তাহলে কোথাও ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।" এটা শিগগিরই মিটে যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, "যারা এধরনের কাজ করছে, তারা ভুল করছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আবার ক্ষমতায় আসবেন, তখন দল এদের বরদাস্ত করবে না।"


এখন এই বিষয়ে অরূপ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রসঙ্গত, হাওড়ায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব 'সুবিদিত।' গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দিকে ইঙ্গিত করেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল ত্যাগ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বিজেপি যোগের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন বৈশালী ডালমিয়াও। অন্যদিকে লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া দিন তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছিলেন অরূপ রায়ও।


আরও পড়ুন, মমতার মুখ মানুষ চায় না: স্বপন, করলার নাম বদলালেই মিষ্টি হয়ে যায় না: মান্নান