বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: আসানসোলের মা কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের রয়েছে শ্যামারূপার রত্নখচিত মূর্তি। তবে সেই মূর্তি রয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে গুহার ভেতর। শ্যামারূপা ছিলেন রাজা বল্লাল সেনের কুলোদেবী। বল্লাল সেনের কন্যার সঙ্গে কাশিপুরের রাজা কল্যাণী প্রসাদের বিয়ে হয়েছিল। তখনই শ্যামারূপাকে যৌতুক হিসেবে পায় রাজা কল্যাণী প্রসাদ। কিন্তু বিয়ে করে বাড়ি ফিরে আসার সময় গভীর জঙ্গলে দিকভ্রষ্ট হন কল্যাণী প্রসাদ ও তার স্ত্রী। সেখানে শ্যামারুপাকে গাছের নিচে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আর নাকি তোলা যায়নি। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যানেশ্বরী মন্দির। আর কল্যাণী প্রসাদের নাম থেকেই কল্যানেশ্বরীর সৃষ্টি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'শরীর ভালো নয়; মরে যাব, বাঁ দিকটার সবটাই গিয়েছে'


প্রায় ৯ শতাব্দী পুরনো কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে প্রতি বছর কালীপুজোর রাতে নৈবেদ্য পাঠানো হয় কাশীপুর রাজবাড়ি থেকে। পুজোয় রাজার নামেই প্রথম সঙ্কল্প করা হয়। দেবীর শাঁখা আসে দামোদরের শাঁখারি পরিবার থেকে। জনশ্রুতি, এই মন্দিরে প্রথম সিদ্ধিলাভ করেছিলেন কাপালিক দেবীদাস চট্টোপাধ্যায়। তাই কল্যানেশ্বরীকে সিদ্ধপিঠ বলা হয়।


পাহাড় কেটে মন্দির বানানো হয়েছে। কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে কোনও মূর্তি পুজো হয় না। বছরের অন্য সময় সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের দরজা। অতীতে বাঘের ভয় থাকায় দিনের বেলায় সন্ধ্যা আরতি করে পূজারি মন্দিরের দরজা বন্ধ করে চলে যেতেন। সেই পরম্পরা আজও বর্তমান। তবে শুধুমাত্র কালীপুজোর দিন সারারাত মন্দির থাকে খোলা। হয় পুজো আর্চনা।


গল্পগাথা অনুসারে এখানে দেবী চালনাদহের ঘাটে একসময় পথচলতি এক শাঁখারিকে ডেকে নিজে দর্শন দেন, তাঁর কাছ থেকে শাঁখা পরেন। সেই কাপালিক দেবীদাস চট্টোপাধ্যায়কে নিজের বাবা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। অতীতে বহু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে। কালীপুজোর দিনেও এখানে সারারাত পুজো হয়। হয় ছাগ বলিও। এই মন্দিরকে ঘিরে এখানে কল্যাণশ্বেরী মাইথন ভ্রমণকেন্দ্রও গড়ে উঠেছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)