Amartya Sen: বিশ্বভারতীকে খোঁচা! বোলপুর ছাড়ার আগে জমি নিয়ে কী বললেন অমর্ত্য?
বেশ কয়েকদিন ধরেই জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সংঘাত তুঙ্গে বলা যেতে পারে। এনিয়ে জি ২৪ ঘণ্টার `আপনার রায় অনুষ্ঠান` বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী বলেন, অমর্ত্য সেনকে সম্মান করি
প্রসেনজিত্ মালাকার: জমি বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বোলপুর ছাড়েন অমর্ত্য সেন। সেই সময় তাঁকে জমি বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে যা প্রশ্ন করার তা উপাচার্যকে করুন।
আরও পড়ুন-সব টাকা তাঁর কাছেই গচ্ছিত, কুন্তলের মুখে এবার এক রহস্যময়ীর নাম
অমর্ত্য সেন এদিন বলেন, জমির মালিক ছিলেন আমার বাবা। উইলে লেখা রয়েছে বাবার মৃত্যুর পর জমির মালিকানা যাবে মায়ের কাছে। তারপর জমির মালিকানা আমার হওয়ার কথা। এখানে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।
বিশ্বভারতীর কিছুটা জায়গা অমর্ত্য সেন দখল করে বসে রয়েছেন বলে দাবি করেছে বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে বারবার তাঁকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। জমির মিউটেশনের জন্য সম্প্রতি বোলপুর বিএলআরও অফিসেও গিয়েছিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। আজ যখন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি মনে কি কোনও ব্যথা নিয়ে যাচ্ছেন? অমর্ত্য সেন বলেন, মনে ব্যথার কোনও অবকাশ নেই। ওরা যে হেনস্থা করছেন তাতে তারা জ্ঞানহীন।
জমি বিতর্ক নিয়ে একদিকে অমর্ত্য যেমন খুব বেশি মুখ খুলতে নারাজ তেমনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি অমর্ত্য সেন। তবে নিজের জমির মালিকানা যে তাঁর সে বিষয়েও তিনি বেশ আশাবাদী।
বেশ কয়েকদিন ধরেই জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সংঘাত তুঙ্গে বলা যেতে পারে। এনিয়ে জি ২৪ ঘণ্টার 'আপনার রায় অনুষ্ঠান' বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী বলেন, অমর্ত্য সেনকে সম্মান করি। তবে বিশ্বভারতীর স্বার্থ আমার কাছে আগে।
উল্লেখ্য, জমির মিউটেশনের জন্য সম্প্রতি বিএলআরও অফিসে হাজির হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। পাশাপাশি, বিশ্বভারতীকে তিনি কড়া কথা শুনিয়ে চলেছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেন, 'যিনি উপাচার্য হিসেবে নিজের ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেদিয়ে দেন। তিনি কী কারণে কী করেন, সেটা সাধারণ লোকের বোঝা ততটা সহজ নয়'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'তাঁর স্বভাব বদলানো, ছেলে বয়স থেকে তিনি যা শিখেছেন, সেটা বদলে অন্যভাবে ব্যবহার করা। সেটা আমি করতে পারব বলে মনে করার মতো সাহস আমার নেই। ফলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য যে আচরণ করছেন, তাতে আমার কাছে চমকে যাওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি নিজে চমকে যান কিনা, আমি জানতে পারি না'।