নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোরের বালি ব্রিজে তখন প্রাতঃভ্রমণের মেজাজ। গাড়ির দৌরাত্ম্যও স্বাভাবিকবাবে অনেকটাই কম। কিন্তু, হঠাত্ ছন্দ পতন! রেলিং টপকে আত্মহত্যা করতে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে চেষ্টা করছেন বছর কুড়ির এক যুবতী। এরপরই ছুটে গিয়ে কোনও রকমে বাঁচানো হয় তাঁকে। কিন্তু, এমন কাণ্ডের কারণ কী? দাম্পত্য কলহ না কি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জট, কাটছে না ধন্দ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার খবর পেয়ে ব্রিজে এসে পৌঁছয় বালি থানার পুলিস। এরপর ওই যুবতীকে নিয়ে যাওয়া হয় বালি থানায়। কিন্তু, কী এমন ঘটেছে যে কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিতে যাচ্ছিলেন এই যুবতী?


পুলিসি জেরায় জানা যায়, ওই যুবতীর নাম- শম্পা নস্কর। বাড়ি, কলকাতার পদ্মপুকুরে। বছর চারেক আগে শম্পার সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকেশ নস্করের। কিন্তু, বেশ কিছুদিন যাবত্ রাকেশ-শম্পা অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তার জেরেই না কি আজ সকালে শম্পা বালি ব্রিজে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে দাম্পত্য কলহ ছাড়াও আরেকটি তত্ত্বও উঠে আসছে। আরও পড়ুন- রাতভর প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে প্রেমিকা


একটি বিশেষ সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শম্পা। সোমবার সকালে সেই 'প্রেমিকে'র সঙ্গেই না কি দেখা করতে শিয়ালদহ গিয়েছিলেন পদ্মপুকুরের এই বাসিন্দা। সেখানে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হওয়াতেই না কি ঝোঁকের বশে বাস ধরে বালি ব্রিজে চলে আসেন পম্পা এবং তারপরই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।


সূত্রের খবর, পুলিস পম্পার 'প্রেমিক'কে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একই সঙ্গে পুলিস এদিন পম্পার স্বামী রাকেশকেও থানায় ডাকে। মুচলেখা দিয়ে স্ত্রী-কে থানা থেকে নিয়ে যান স্বামী। সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বামী-স্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, প্রেমিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।