নিজস্ব প্রতিবেদন : "কেউটে সাপের সঙ্গে যে আচরণ করেন, বিজেপির সঙ্গেও রাজনৈতিকভাবে সেই আচরণ করুন।"  পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কর্মী পিন্টু সাহার খুনের ঘটনায় এদিন পুরুলিয়ায় প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভা করে তৃণমূল। সেই মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে একহাত নেন অভিষেক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঝাড়খণ্ড থেকে  আসা দুষ্কৃতীরাই এঘটনা ঘটিয়েছে। রাজ্যে বিজেপি 'কালো দিন' ফেরাতে চাইছে বলে এদিন সভামঞ্চ থেকে তোপ দাগেন অভিষেক। আশ্বাস দেন, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। পিন্টু সাহার খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। হুঁশিয়ারি দেন, "একটা পিন্টুকে মারবে। ১০০০ পিন্টু হবে।"


আরও পড়ুন, তলায় ঝুলছে গার্ড, তাঁকে নিয়েই ছুটল ট্রেন! দেখুন হাড়হিম করা ভিডিও


কালীপুজোর দিন রাতে পুরুলিয়ার পারুই গ্রামে আততায়ীর হাতে খুন হন তৃণমূল কর্মী পিন্টু সাহা। বলির পাঁঠার মাংস কাটার সময় পিন্টু সাহাকে পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতী। গুলি লাগে কোমরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় এসএসকেএম হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয় পিন্টু সাহাকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অত্যধিক রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয় পিন্টু সাহার।


খুনের ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। এদিন সকালে প্রথমে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পিন্টু সাহার মা, দাদা, ভাইপো, দিদিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যের চাকরির আশ্বাস দেন। অর্থ সাহায্যও করেন অভিষেক।


আরও পড়ুন, সকাল থেকে টানাপোড়েন, প্রায় ২ মাস পর অবশেষে খুলল দাড়িভিট হাইস্কুল


এদিকে, পিন্টু সাহার খুনের ঘটনায় আজ সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় পারুই গ্রামে। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হন গ্রামের মহিলারা। তৃণমূল প্রতিনিদি দলকে গ্রামে ঢুকতে দিতে নারাজ ছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ গ্রামে পৌঁছয় নিহত তৃণমূল কর্মীর দেহ। প্রথমে পুনচায় দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। তারপর সেখান থেকে মোমবাতি মিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পারুই গ্রামে পিন্টু সাহার বাড়িতে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত ও সন্ধ্যারানি টুডু এবং সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে স্থানীয় শ্মশানে নিহত তৃণমূল কর্মীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।