অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, `BJP নেতারা চ্যানেলে বসুক, কাজের পরিসংখ্যানে আমি একা ১০ গোল দেব`
``তৃণমূল থেকে নেতা নিয়ে যাচ্ছে চার্টার্ড বিমানে। পুরনো বিজেপি কর্মীরা টোটোও পাচ্ছে না।``
নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলায় BJP-র প্রায় প্রতিটি সভায় এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি থাকছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার সভা করতে এসে বারবার ভাইপো বলে তাঁকে আক্রমণ করছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগের পাল্টা হিসাবে একাধিক মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসিতে ঝুলবেন। তাঁর জন্য ED, CBI-কে তদন্তে নামাতে হবে না। ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে যেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শিবির যতবার তাঁকে টার্গেট করছে, তিনি ততবারই পাল্টা আক্রমণ ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আক্রমণ, পাল্টা হানায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার রাজনীতির ময়দান।
পৈলানে এদিন আরও একবার বিজেপি শিবিরকে বিঁধলেন অভিষেক। তিনি এদিন বিজেপি বনাম তৃণমূলের উন্নয়নের পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করলেন। তাঁর দাবি, গত দশ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যা উন্নয়ন করেছেন, তা দেশের কোনও রাজ্যে হয়নি। একইসঙ্গে তিনি বিজেপি শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, লড়াই হবে তথ্য, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। কোন চ্যানেল কে বসবে, কে আসবে ওরা ঠিক করুক। একদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা থাকবে, অন্যদিকে আমি একা থাকব। দশ গোল দেব। অর্থাত্, একুশের নির্বাচনের আগে তিনিই যে তৃণমূল শিবিরের সেনাপতি, তা কার্যত বুঝিয়েই দিলেন যুব নেতা অভিষেক।
আরও পড়ুন- জাকির হোসেনের ওপর হামলায় সরব ফিরহাদ, অধীর, কৈলাস, নিন্দায় টুইট রাজ্যপালেরও
এদিন অভিষেক বলেছেন, ''বিজেপি বলছে, সাত বছরে বাংলাকে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। আমি বলছি, সাত বছরে বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকার কর কেটে নিয়েছে ওরা। সাত বছরের হিসাবে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকে কেটে নিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা দিয়ে এমএলএ, এমপি কিনছে। সেই টাকা কোথায়, কোন খাতে খরচ করেছে তার হিসাব দিতে পারবে! তৃণমূল থেকে নেতা কিনে সোনার বাংলা গড়বে বলছে। মানুষকে বোকা ভাবছে। সবাই সব বোঝে। তৃণমূল থেকে নেতা নিয়ে যাচ্ছে চার্টার্ড বিমানে। পুরনো বিজেপি কর্মীরা টোটোও পাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে বলেছিল। ১৫ লাখ তো দূরের কথা, ১৫ টাকাও দেয়নি। আর আগে বাংলায এসে অমিত শাহ বলেছিল, আমরা সব চাষীকে ১৮ হাজার টাকা দেব। আজ আবার কাকদ্বীপে চার লক্ষ মতস্যজীবীদের টাকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বলছি, আগে টাকা দিন। তার পর এবার ভোট চাইবেন। বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর মানুষ মেনে নেবে না। আমরা বলছি, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, একশো দিনের কাজের হিসাব নিন আমাদের থেকে, তার পর জোট বেঁধে জোড়াফুলে ভোট দিন।''