নিজস্ব প্রতিবেদন- পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দাঁড়িয়ে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভা থেকে বললেন, ''এটা নাকি অধিকারীদের গড়। এটা মানুষের জেলা। মানুষের গড় এটা। আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। পারেনি। আমাকে ধমকে, চমকে লাভ নেই। ভোটের আগে আরও একশোবার মেদিনীপুরে আসব। যখন ডাকবেন তখনই আসব। ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে দেখাক।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিষেক এদিন শুভেন্দুর খাসতালুকে দাঁড়িয়ে আরও বলেন, ''এই মাটিকে আমি করজোড়ে প্রণাম করছি। এ মাটি নেতাইয়ের, এ মাটি নন্দীগ্রামের, এই মাটি গণ আন্দোলনের মাটি। মেদিনীপুরের মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য করবে না। এই মাটি পবিত্র। বিদ্যাসাগরের মূর্তি যারা ভেঙেছে তাদের দলে নাম লিখিয়েছে। জেলার মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে যারা, তাদের মানুষ ক্ষমা করবে না।  বিশ্বাসঘাতকদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন কথা দিন। ওদের এই জেলা থেকে উত্খাত করে ছাড়বেন, কথা দিন আজ এই সভায় দাঁড়িয়ে। আমি মা-বোনদের বলছি, ভয় পাবেন না। কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের মাটি অভিবক্ত মেদিনীপুর। এই মাটি বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য করবে না। ''


আরও পড়ুন-  'বেইমানদের আমি তুই বলি', কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ অভিষেকের


মেদিনীপুরের মানুষের কাঁধে এবার বড় দায়িত্ব। অভিষেক এদিন বলেন, ''পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন, আপনাদের হাতে বড় দায়িত্ব। মায়ের সঙ্গে যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের ছেড়ে কথা বলা উচিত নয়। অতিচালাকের গলায় দড়ি। এটা কিন্তু এখন আর শুধু তৃণমূলের সরকার বাঁচানোর লড়াই নয়। এটা মেদিনীপুরের অস্তিত্বের লড়াই। সম্মানের লড়াই। আমি ভোটের আগে আবার আসব। যতবার দরকার হবে আসব। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। আমাকে আপনারা ডাকলেই পাবেন। ওরা বলে, নন্দীগ্রামে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেনি। আচ্ছা আপনারাই বলুন তো, নন্দীগ্রামে গত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদী কতবার এসেছে! বলুন তো, অমিত শাহকে নন্দীগ্রামের মানুষ কতবার দেখেছে! মানুষকে বোকা বানানো এত সহজ নয় আর।''