Bad Road : গ্রামের নাম গুগলিপোতা, ITI-কলেজ-স্কুল সবই আছে! শুধু রাস্তাটাই নেই...
এই গ্রামের রাস্তায় এখনও ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুল্যান্স । প্রায় বছর কয়েক বাস অটো তো দূর, কোনও চার চাকার গাড়িকেও দেখা যায়নি এই রাস্তায়। সাইকেল অথবা স্কুটার চালকদেরও রীতিমতো প্রাণ ওষ্ঠাগত এই রাস্তায় যাতায়াতের ভয়ে। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের গুগুলিপোতা গ্রামের রাস্তার এমন বেহাল দশায় কপালে ভাঁজ পড়েছে সমস্ত গ্রামবাসীর।লক্ষ্মীপুর স্টেশন থেকে গুগুলিপোতা পর্যন্তও এই রাস্তার মাঝেই পরে ছোট ছোট ৪ টি গ্রাম। যাঁদের দৈনন্দিন যাতায়াতের পথ ওই একটিই। আর কোনও বিকল্প তাঁদের কাছে প্রায় নেই বললেই চলে।
পূজা দাস: এই গ্রামের রাস্তায় এখনও ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুল্যান্স । প্রায় বছর কয়েক বাস অটো তো দূর, কোনও চার চাকার গাড়িকেও দেখা যায়নি এই রাস্তায়। সাইকেল অথবা স্কুটার চালকদেরও রীতিমতো প্রাণ ওষ্ঠাগত এই রাস্তায় যাতায়াতের ভয়ে। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের গুগুলিপোতা গ্রামের রাস্তার এমন বেহাল দশায় কপালে ভাঁজ পড়েছে সমস্ত গ্রামবাসীর।লক্ষ্মীপুর স্টেশন থেকে গুগুলিপোতা পর্যন্তও এই রাস্তার মাঝেই পরে ছোট ছোট ৪ টি গ্রাম। যাঁদের দৈনন্দিন যাতায়াতের পথ ওই একটিই। আর কোনও বিকল্প তাঁদের কাছে প্রায় নেই বললেই চলে। গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই খানাখন্দে ভরা রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন তাঁরা। এই রাস্তা পেরোলেই একেবারে সামনে পড়ে ১ টি ITI কলেজ, ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ টি উচ্চ বিদ্যালয়। তাই নিত্যদিনই নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়াদের। বর্ষাকালে ভোগান্তি আরও বাড়ে। রাস্তার বড়ো বড়ো গর্তে জল জমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে এলাকার।
একটা সময় ঢালাই করা পিচের রাস্তাই ব্যবহার করতেন তাঁরা। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই ঢালাই রাস্তাটি প্রথম চালু হয়েছিল। তারপর এক বছর যাতায়াত সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় ভুগতে হয় নি তাঁদের। তবে এরপর গ্রামের ভিতর দিয়ে লরি চলাচল শুর হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই অবনতি হতে থাকে সেই রাস্তার। এবং একটা সময় রাস্তার ঢালাই ভেঙে সমস্ত কিছু পুকুরে চলে যায়। রাস্তার দু'ধারে রয়েছে পুকুর এবং বড়ো বড়ো মাঠ। যার কারণে বর্ষায় জল বাড়লে রাস্তার ঢালাই খসে খসে পড়ে ওই পুকুরে। পঞ্চায়েত প্রধানকে এইবিষয় জানানো হলে তিনি প্রথমে পুকুর বাঁধিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলে জানান গ্রামবাসীরা।স্থানীয় বাসিন্দা চিন্তাহরণ ঘোষ বলেন, এখানকার MLA তপন চ্যাটার্জি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান সকলকেই এই বিষয় জানানো হয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে আরও একটা বছর। প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও পদক্ষেপ আখিরে করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন : Bengal Weather Update: পুজোয় বৃষ্টিহীন বাংলা, স্বস্তিতে রাজ্যবাসী
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গ্রামে কোনও হাসপাতাল নেই, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিংগারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা পূর্বস্থলি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তার সমস্যার জন্য এই গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে চায় না। এলেও লক্ষ্মীপুর স্টেশন হয়ে আশপাশের গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে আসতে হয় তাকে। যার ফলে ৩ কিমি রাস্তার বদলে প্রায় ৭ কিমি রাস্তা পার করে পৌঁছতে হয় গন্তব্যে । দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার কোনও সংস্কার না করানোর ফলে দূর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছে পথ যাত্রীদের। এক নিত্যযাত্রীর কথায়, 'এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের পথে দুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। কিছুদিন আগেও এখানে পড়ে গিয়ে হাতে ও পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন এক সাইকেল চালক'। বহুবার স্থানীয় প্রশাসনকে আবেদন জানিয়েও হয়নি কোনও সুরাহা।তাই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এবার মরিয়া হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। বেহাল রাস্তা কবে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে এই আশায় দিন গুনছে গ্রামবাসীরা।
ছবি ও তথ্যসূত্র: মধুপর্ণা ঘোষ