নিজস্ব প্রতিবেদন: আয়োজন ছিল বিশাল। তবে রাগ করে এলেন না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। বান্ধবীকে অনুসরণ করে মিছিলে যোগ দিলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়ও (Sovan Chatterjee)। মহাবিব্রত বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পথে নামলেন বিজেপির ৩ নেতা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya), মুকুল রায় (Mukul roy) এবং অর্জুন সিং। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছল যে শেষ পর্যন্ত বদলাতে হল অ্যাজেন্ডাও। যা ছিল শোভন-বৈশাখীর স্বাগত মিছিল তা বদলে গেল বিজেপির রোজকার আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শোভন-বৈশাখীর (sovan-Baisakhi)। মিছিল ঘিরে চূড়ান্ত নাটকীয়তা বজায় রইল দিনভর। কার্যত প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলের সাক্ষী রইল রাজ্য! সঙ্গে ঘনঘন পট পরিবর্তন! শোভন-বৈশাখীর নামাঙ্কিত মিছিলে এলেনই না শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের এই গরহাজিরার কথা জানা গিয়েছে, মিছিল শুরু করার মাত্র কিছুক্ষণ আগে! এ যেন, শুরুর আগেই ছন্দপতন। 


বিজেপির হয়ে পথে নেমে ইনিংস শুরু করতেই এদিন মিছিল করার কথা ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সেখানে সরে গেলেন বিজেপির মিছিলের এদিনের মুখই! স্বভাবতই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। 


গতরাত থেকেই অবশ্য মিছিল ঘিরে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। লালবাজার (laalbazar) থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করে বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয়, মিছিল হবেই। সেইমতো সকাল থেকে কার্যত আমনে-সামনে ছিল দুপক্ষ। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মিছিল বেরোলে ব্যবস্থা নিতে পথে নেমে পড়ে বিশাল পুলিসবাহিনী। প্রয়োজনে জলকামানও ব্যবহার হবে, জানিয়ে দেওয়া হয়। ওদিকে, পথে নেমে পড়েন বিজেপি নেতাকর্মীরাও। 


এই চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রথম মোড় পরিবর্তন! শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় পুলিস। তবে কোনও বাইক বা গাড়ি নয়, পায়ে হেঁটে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়। বদলে যায় রুটও। এরপরই স্পষ্ট হয় মিছিলে আসছেন না শোভন-বৈশাখীর কেউই। আর এরপরই বদল অ্যাজেন্ডাতেও। রাতারাতি বদলায় মিছিলের মোটিভ। শোভন-বৈশাখীর স্বাগত মিছিল হয়ে যায়, আর নয় অন্যায় কর্মসূচি। দীর্ঘ টালবাহানার পরও শেষ পর্যন্ত আসেননি শোভন-বৈশাখী।