অয়ন ঘোষাল: আমপানের আগে পর্যন্ত এ রাজ্যে আছড়ে পড়া সুপার সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় বকখালির তেমন ক্ষতি করেনি। আয়লা, ফণি বা বুলবুল, বকখালিকে শান্তই রেখেছে। আমপানেই প্রথম সাইক্লোনের তাণ্ডবলীলার প্রত্যক্ষ শিকার হয় বকখালি ফ্রেজারগঞ্জ। তখনও ভাবা হয়েছিল, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ঘটনা আর ঘটবে না। তাই গোটা বকখালি অঞ্চলে একটিও মাল্টিপারপাস ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র বলে তেমন কিছু নেই।  যার পোশাকি নাম আয়লা সেন্টার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু ইয়াস (Yaas Cyclone) কাল ফের একদফা দাপট দেখিয়ে গিয়েছে। তাই লকডাউনের বকখালির সব হারানো বাসিন্দারা খালি পড়ে থাকা হোটেল, গেস্ট হাউসের  একতলায় গোটা পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এরকমই একটি নির্মীয়মাণ গেস্ট হাউস মা তারা লজ। 


আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপে পরিণত YAAS, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস


বাড়ির কাঠামো ও ইঁটের গাঁথুনির নিচে স্থানীয় লক্ষীপুর গ্রামের পাঁচটি পরিবারের আশ্রয়। যেহেতু এই আশ্রয় একেবারেই বেসরকারি বা মেক শিফট, তাই বিশেষ কিছু করা যায়নি। কাল বিকেল ৩ টেয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে পানীয় জলের কিছু পাউচ এবং মুড়ি পাঠানো হয়েছিল। আজ সকালে এলাকার একটি দোকান থেকে বাতাসা বা চিনি কিনে, সেই মুড়ি খেয়ে পেট চালাছে। 


আরও পড়ুন: কাকভোরে ধেয়ে এল প্রবল ঘূর্ণিঝড়, লন্ডভন্ড চাকদা-শান্তিপুরের বেশকিছু এলাকা


কলে আজ সকালে জল এসেছে। পাউচ ফুরিয়ে যাওয়ায় সেই জল পান করে দিন কাটাচ্ছে। গ্রামের মিষ্টি জলের মাছ চাষের পুকুর এবং সমুদ্রের নোনা জল মিলেমিশে একাকার । কিছু মাছ ভেসে এসেছে নির্মীয়মান মা তারা লজের একতলায়। সেই মাছ কুটে রান্নার তোড়জোড় চলছে। আর তার ঠিক ৫০ মিটার দূরেই লক্ষীপুর সমুদ্র বাঁধ একটু একটু করে ভাঙছে । হু হু করে গ্রামে ঢুকে বিপন্ন মানুষগুলিকে আরও ত্রস্ত করে চলেছে। অন্যদিকে, ভরা কোটালে উত্তাল বঙ্গোপসাগর ।