Bandemataram Bhavan: বিতর্কের `বন্দেমাতরম ভবনে`র বঙ্কিম-কাল ও ইতিহাসের আলোছায়া
শ্রীঅরবিন্দ বন্দেমাতরম্ গানটিকে `বঙ্গদেশের জাতীয় সঙ্গীত` (National Anthem of Bengal) বলে উল্লেখ করেছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনুমান করা হয়, ১৮৭৬ সাল নাগাদ ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকুরিরত অবস্থাতেই বন্দেমাতরম্ রচনার কথা ভেবেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তবে ঠিক কোন সময় তিনি গানটি রচনা করেছিলেন তা পরিষ্কার জানা যায় না। ১৮৮২ সালে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। শোনা যায়, রচনার অব্যবহিত পরেই বঙ্কিম যদুভট্টকে গানটিতে সুরারোপ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
বন্দেমাতরম সংস্কৃত-বাংলা মিশ্রভাষায় লিখিত। রচনার পরবর্তী কালে গানটি ভারতমাতার বন্দনাগীতি এবং বাংলা মা তথা বঙ্গদেশের এক জাতীয় মূর্তিকল্প হিসেবে স্থির হয়ে ওঠে বলে মত সমালোচকদের। শ্রীঅরবিন্দ বন্দেমাতরম্ গানটিকে 'বঙ্গদেশের জাতীয় সঙ্গীত' (National Anthem of Bengal) বলে উল্লেখ করেছিলেন।
আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা জানান, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে হুগলিতে কর্মরত থাকাকালীন পাঁচ বছর বঙ্কিমচন্দ্র যে বাড়িতে ছিলেন সেটিই পরবর্তী কালে 'বন্দেমাতরম ভবন' নামে পরিচিত হয়। এ বাড়িতে দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন বঙ্কিমচন্দ্র। এবং এই ভবনই বন্দেমাতরম সঙ্গীতের সূতিকাগৃহ হিসেবে বিবেচিত।
১৮৭৬ সালের ২০ মার্চ বঙ্কিমচন্দ্র হুগলিতে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেকটরের পদে যোগদান করেন। নৈহাটির কাঁঠালপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে নৌকায় ভাগীরথী পার করে হুগলী একঘন্টারও কম পথ। সেখান থেকেই কিছুদিন যাতায়াত করার পর তিনি নৈহাটির পাট চুকিয়ে সপরিবার হুগলি চলে আসেন। হুগলিতে এসে তিনি মালিক কাশেমের প্রাসাদের উত্তরদিকের একটি অংশ হাজীবাবার থেকে ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই বাড়িই আজকের বন্দেমাতরম ভবন।
সাহিত্য ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, আনন্দমঠের বন্দেমাতরম গীতিমন্ত্রটি রূপ পরিগ্রহ করেছিল এই বাড়িতেই। সেই মতকে মান্যতা দিয়েই বঙ্কিমের এই বাড়িটি বর্তমানে বন্দেমাতরম ভবন নামে পরিচিতি লাভ করে। এহেন একটি বাড়ি নিয়ে আজ নতুন করে বাঙালিু আলোচনা করছে, কেননা, এই ভবন নিয়ে অতীতে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডার বঙ্গসফরে এবার এ বাড়িতে আসার কথাও রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: JP Nadda: দু'দিনের রাজ্য সফরে নাড্ডা, সংগঠনের হাল ধরতে মরিয়া বিজেপি