নিজস্ব প্রতিবেদন- দলীয় নেতা কালাচাঁদ কর্মকারকে পিটিয়ে খুন। তারই প্রতিবাদে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমায় বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টর বনধ ডেকেছিল বিজেপি। আর সেই বনধ ঘিরে সকাল থেকেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ উত্তপ্ত। এদিন সকাল থেকেই তুফানগঞ্জের একাধিক রাস্তা ছিল শুনশান। বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির কর্মীরা পিকেটিং করছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় মিছিলও বের করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। চুপ করে বসে থাকেননি তৃণমূলের কর্মীরাও। বনধের বিরোধিতায় তারও রাস্তায় নামেন। আর তাতেই বনধ ঘিরে শুরু হয় দুপক্ষের বচসা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির অভিযোগ, মারুগঞ্জ এলাকায় তাদের মিছিলে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মীর। শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেয় শাসক দলের ক্যাডাররা। এর পরই মারুগঞ্জে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়ে যায়। তুফানগঞ্জের জোড়াইমোড়েো দুদলের জমায়েত ঘিরে ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা পুলিস বাহিনীর উপরও আক্রমণ হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। দুপক্ষকে জমায়েত তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিস। কথা না শোনায় এর পর লাঠিচার্জ শুরু করে দেয় পুলিস। তাতে দুপক্ষেরই বহু কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন-  বোমার কারখানাগুলো বন্ধ হোক, মালদা বিস্ফোরণে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ রাজ্যপালের


স্থানীয় দুটি ক্লাবের মধ্যে বচসা মেটাতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কালাচাঁদ কর্মকার। আর তখনই তাঁর উপর চড়াও হয় কেউ বা কারা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিতসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই তুফানগঞ্জ উত্তপ্ত। বিজেপির তরফে অভিযোগ, টার্গেট করে কালাচাঁদ কর্মকারকে মেরেছে তৃণমূল। এদিকে, শাসকদল ও পুলিসের দাবি, এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ক্লাবে-ক্লাবে ঝামেলা মেটাতে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছেন ওই বিজেপি নেতা।