নিজস্ব প্রতিবেদন:  ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা খুনের প্রতিবাদে অজ রবিবার বনধে স্তব্ধ চুঁচুড়া। শনিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ব্যান্ডেল স্টেশনে ঢোকার মুখে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত প্রধান রীতু সিংয়ের স্বামী দিলীপ রাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও নইবের বোলিং ও ভুল আম্পায়ারিঙের খেসারত দিল আফগানিস্তান 


রবিবার সকাল থেকে ব্যান্ডেল ও চুঁচুড়ায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। ব্যান্ডেল বাজার, বালির মোড়, চকবাজার, রবীন্দ্রনগর বাজার ও খড়ুয়া বাজার খোলেনি। মাছ থেকে সবজি বাজার বন্ধ। দু-একটি জায়গায় চায়ের দোকান খোলা রয়েছে। গতকাল থেকে চুঁচুড়া বনধের কথা প্রচার করছিল তৃণমূল কংগ্রেস। চুঁচুড়া প্রধান বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও দূরপাল্লার বাস বা ট্রেকার ছাড়েনি। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু টোটো বা অটো চলছে।



এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ব্যান্ডেল মোড় থেকে স্টেশন রোড হয় স্টেশনে আসছিলেন দিলীপ রাম। পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস যাওয়ায় লাইনের পাশই দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ। অনেক যাত্রীও ছিলেন তার সঙ্গে। সেইসময় পেছন থেকে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতাল ও পারে তাঁকে আনা হয় কলকাতায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন-পেহলু খানের নাম চার্জশিটে নেই, চাপে পড়ে জানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী


এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দিলীপ রামকে খুন করার জন্য রীতিমতো রেইরি করা হয়েছিল। আততায়ীরা ছিল যাত্রীদের মধ্যেই। কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ড থেকে ফোনে খুনে হুমকি দেওয়া হয় দিলীপ রামকে। ফলে মনে করা হচ্ছে ঘটনার পেছনে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ থাকতে পারে।


এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ঘটনার সঙ্গে অবশ্যই বিজেপি জড়িয়ে রয়েছে। খুনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বিজু পাসোয়ানের। অপরদিকে গোটা ঘটনাটিকে তৃণমূলের ভেতরের গোলমাল বলে মন্তব্য করেছে বিজেপি। টাকাপয়সা নিয়ে গোলামালের জেরে তৃণমূলের নেতাকে খুন হতে হলে বলে মন্তব্য করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।