নিজস্ব প্রতিবেদন: রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দিতে চলেছে বাংলাদেশ। সেদেশের কক্সবাজার, টেকনাফে যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলি রয়েছে সেগুকিকে ঘেরা হবে কাঁটাতার দিয়ে। একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে আরও সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তৈরি করা হবে আরও ওয়াচ টাওয়ার। বসানো হবে আরও সিসিটিভি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা। মায়ানমার সেনার অভিযানে সেদেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। সীমান্ত খুলে দিয়ে 'মানবিক নজির' তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততই জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। টেকনাফ - কক্সবাজার এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। এমনকী তাদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগেরও অভিযোগ উঠেছে। চাষের জমি দখল করে রোহিঙ্গা শিবির গড়ে ওঠায় কৃষিকাজ লাটে উঠেছে স্থানীয়দের। 


এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে নারাজ রেঙুন। এই দড়ি টানাটানিতে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। 


সম্ভবত চন্দ্রগহ্বরের ছায়ায় ঘুমাচ্ছে বিক্রম, নাসার যানের তোলা ছবিতেও দেখা মিলল না তার


বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে রোহিঙ্গা শিবিরগুলি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 


সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী শিবির কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার নজির রয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।