ওয়েব ডেস্ক : দলে দলে এদেশে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা। তাদের টার্গেট সীমান্তের এ পারও। স্থানীয়দের মধ্যে জেহাদের বার্তা ছড়ানোর কাজে তারা এখন ব্যস্ত। নাশকতার জন্য দায়িত্ব নিয়ে তৈরি করছে লোন উলফ। জেহাদিরা জাল ছড়িয়েছে ত্রিপুরা থেকে বাংলা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ত্রিপুরার হাইলা কান্দি, অসম, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমান, কোচবিহার দক্ষিণ দিনাজপুর, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় জাল বিছোচ্ছে জেহাদিরা


এভাবেই বাংলাদেশ সীমান্ত ধরে জাল বিছিয়েছে বাংলাদেশ থেকে ঢুকে পড়া জেহাদির দল। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া বীরভূম আর বর্ধমানে জেহাদির খোঁজ মিলেছিল। তবে তারপর নিজেদের সক্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে জেহাদিরা। নতুন করে কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা আর হাওড়াতেও ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা। একথা মেনে নিচ্ছেন ভারতের গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে মালদহে জাল নোট আর আফিমের কারবার চালাত জঙ্গিরা।


আরও পড়ুন- এরাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ৭০০ বাংলাদেশি জঙ্গি; ডশিয়ার দিয়ে ভারতকে জানাল বাংলাদেশ


গোয়েন্দাদের তত্পরতা বাড়তেই বদল হয়েছে তার কেন্দ্র। কোচবিহার সীমান্তে সরে গেছে সেই আফিমের কারবার। গোয়েন্দারা বলছেন এটাই প্রমাণ করে এদেশে কতটা তত্পর জেহাদিরা। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলে এরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, এ রাজ্যে গা ঢাকা দিলেও চুপ করে বসে নেই জেহাদিরা।


জেহাদি নজরে বাংলা


অবৈধ মাদ্রাসাগুলিকে কাজে লাগিয়ে চলছে জেহাদের প্রচার। তার বড় উদাধরণ ISIS জঙ্গি মুসা। মুসা কোথায় কী করবে, কীভাবে হামলা চালাবে, সে সব দায়িত্ব নিয়ে ঠিক করে দেন আবু সুলেইমান। এরাজ্যে গা ঢাকা দেওয়া সুলেইমানই মুসাকে পরিকল্পনা করে দিয়েছিল। খালি মুসা নয়। এভাবে একাধিক যুবককে সন্ত্রাসের উত্সাহ দিয়েছে বাংলাদেশের জঙ্গি নেতারা। নাশকতার পরিকল্পনা থেকে রসদ দেওয়া সবটাই করছে তাঁরা। জাঙ্গিদের টার্গেট এরাজ্যেও শরিয়তের আইন প্রতিষ্ঠা করা। সে জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করছে তাঁরা। গোপনে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিদ্বেষ। বাংলাদেশ থেকে আশ্রয় নেওয়া মুক্তমনা মানুষজন আর তাদের আশ্রয়দাতারাও জঙ্গিদের টার্গেট। ইদানিং কালের কয়েকটি সংঘর্ষেও এদের ভূমিকা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।