Niladri Sekhar Dana | Kalyani AIIMS: `যারা আমার বিরুদ্ধে কেস করেছে, আমি তাদের শেষ দেখে ছাড়ব`
`আমি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের একটা ফোন করলে যে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থায় আমার মেয়ের স্থায়ী চাকরি হবে। কিন্তু আমি তা করিনি । আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার মেয়ে ঠিকা সংস্থায় `নো ওয়ার্ক নো পে`-র ভিত্তিতে ৪ মাসের জন্য কাজে যোগ দিয়েছিল।`
মৃত্যুঞ্জয় দাস: 'যারা আমার বিরুদ্ধে কেস করেছে, আমি তাদের শেষ দেখে ছাড়ব।' মেয়ের এইমসে চাকরি প্রসঙ্গে প্রকাশ্য সভা থেকে হুঁশিয়ারি নিলাদ্রী শেখর দানার। বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'মেয়ের এইমসে ঠিকাদার সংস্থার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে কথা দিচ্ছি বিজেপির পতাকা ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে ঢুকে যাব। যারা আমার বিরুদ্ধে কেস দিয়েছে, তাদের আমি শেষ দেখে ছাড়ব।' মেয়ের এইমসে চাকরি প্রসঙ্গে এই ভাষাতেই প্রকাশ্য সভা থেকে শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা।
ওদিকে তৃণমূলের পালটা কটাক্ষ, নিলাদ্রী শেখর দানা যে প্রভাব খাটিয়ে মেয়ের চাকরি বাগিয়েছিলেন তা সারা বাংলার মানুষ আজ জেনে গেছে। তিনি যে প্রভাব খাটাননি পারলে তিনি তা আইনগতভাবে প্রমাণ করুন। প্রসঙ্গত, মেয়ে মৈত্রী দানাকে প্রভাব খাটিয়ে এইমসে চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার বিরুদ্ধে। এক চাকরিপ্রার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিকবার নিলাদ্রী শেখর দানার বাড়িতে গিয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন সিআইডি আধিকারিকরা। এরপর গত বুধবার সিআইডির সদর দফতরে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানাকেও।
সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ধলডাঙা মোড়ে বিজেপির একটি সভা থেকে মেয়ের চাকরি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। তিনি বলেন, 'ভারতবর্ষের কোনও বিধায়ক বা সাংসদের মেয়ে ৪ মাসের জন্য একটি ঠিকা সংস্থায় কাজ করছে, এমন নজির নেই। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের একটা ফোন করলে যে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থায় আমার মেয়ের স্থায়ী চাকরি হবে। কিন্তু আমি তা করিনি । আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার মেয়ে ঠিকা সংস্থায় 'নো ওয়ার্ক নো পে'-র ভিত্তিতে ৪ মাসের জন্য কাজে যোগ দিয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে ওঠা প্রভাব খাটানোর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিজেপির পতাকা ছেড়ে বাড়িতে ঢুকে যাব। আর না পারলে আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।'
সভা শেষে বিধায়ক আরও বলেন, 'আমাকে হয়রান করা হচ্ছে। হাজার বার সিআইডি ডাকলে হাজার বার যাব। পাঁচিল টপকে পালাব না, পুকুরেও ঝাঁপ দেব না। শাসক দল হিটলারি শাসন চালাচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বুঝিয়ে দেবে বিচার কাকে বলে।' যদিও বিধায়কের এই বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। পালটা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি মেয়ের চাকরিতে প্রভাব না খাটিয়ে থাকলে, নিলাদ্রী শেখর দানা তা আইনগতভাবে প্রমাণ করুন।
আরও পড়ুন, Krishnendu Narayan Chowdhury: করিমের পর এবার বেসুরো কৃষ্ণেন্দু, দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য!