পার্থ চৌধুরী: স্কুল নিয়ে ফিল্ম! সে আবার হয় নাকি? সে কি খটখটে নীরস তথ্যবহুল ছবি হবে না? একদমই নয়। নিজেদের ভালবাসার স্কুলকে নিয়ে শতবর্ষে একখানা ফিল্ম বানাবার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রাক্তনীরা। সম্ভবত এই উদ্যোগ একেবারেই অন্যরকম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুলের নাম বর্ধমান টাউন স্কুল। কয়েকবছর আগে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল এই স্কুল থেকে। বর্ধমানের অন্যতম প্রাচীন স্কুল। পড়াশোনার মান ভাল। একশো বছরে অনেক কিংবদন্তী শিক্ষকের নাম শহর জানে। খেলাধূলায় এই স্কুল প্রথম সারিতে। তাছাড়া সামজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এই স্কুলের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।


এ বছর স্কুলের শতবর্ষ। তাই প্রাক্তনী স্কুলের তরফে বছরভর সেলিব্রেশন চালাচ্ছেন। হচ্ছে একাধিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা।  কিন্তু বছর তো একদিন ফুরিয়ে যাবে। তাই স্কুলের পুরনো স্মৃতিকে তুলে ধরতে সেলুলয়েড মাধ্যম ভেবেছেন প্রাক্তনীরা। তৈরি হচ্ছে বিদ্যাবাড়ির ইতিকথা। 


বর্ধমান টাউন স্কুল প্রাক্তনীর সম্পাদক বিশ্বজিৎ মল্লিক জানান, স্কুল মানেই আবেগ। সেই আবেগটুকু যেন ফুটে ওঠে তা নিয়ে আন্তরিক তারা। দেবরাজ কর্মকার, রাজীব শীল এবং সুমিত রায় এরাই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনব ভাবনা। নেটে ঘেঁটে তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্কুলে নেওয়া হয়নি। কাজ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে। সবে অডিশন হবে।


আরও পড়ুন:Jalpaiguri: বাড়ির সিঁড়িতে ঝুলছে গৃহবধূ! পারিবারিক কলহ নাকি অন্য কিছু?


এই ছায়াছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর দেবরাজ কর্মকার স্পষ্ট করলেন এই ভাবনার বিস্তারিত। তিনি জানান, হ্যাঁ। এতে কয়েকটি ক্যারেকটার থাকছে। স্কুলকে মা হিসেবে দেখা হচ্ছে এই গল্পে। ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং প্রাক্তনীদের আবেগকে নানা পর্যায়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। এই ফিচার ফিল্মের দৈর্ঘ্য ৪৫ মিনিট হবে। আর একটা বড় কথা। শুধু বর্ধমান টাউন স্কুল নয়, এই গল্পে চেষ্টা করা হয়েছে সবার স্কুলজীবনের গল্পকে সন্নিহিত করার।


তাহলে গল্পটা কী হবে?
'বিদ্যেবাড়ির ইতিকথা: গল্পটির মূল প্রেক্ষাপট যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে সিনেমাটি হচ্ছে তা হল গল্পের প্রথমেই বলা হবে; ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ স্বাধীনতার আগে বর্ধমানের রাজনৈতিক ওসামাজিক প্রেক্ষাপট এবং বর্ধমান টাউন স্কুলকে গড়ে তোলার জন্য যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তার রূপ। গল্পের ছলে এই ইতিহাস দেখতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও গল্পের প্রধান চরিত্রে যে ছেলেটি রয়েছে তার বেড়ে ওঠার গল্প বিদ্যাবাড়ি ইতিকথাতে দেখতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও  ১৯২৫ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে বর্ধমান জেলায় অসহযোগ আন্দোলন ও স্বদেশী আন্দোলনের যে রেশ পড়েছিল তা গল্পের মধ্যে ছোট করে ফুটিয়ে তোলা হবে। ইতিহাস বলে, বর্ধমান টাউন স্কুলের যে পুরনো বিল্ডিংটি রয়েছে তা একসময় নীলকর সাহেবের কুঠি ছিল। পরে এটিকে ভেঙে মেয়েদের শিক্ষার প্রতিষ্ঠান করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জাতীয় কংগ্রেস কাউন্সিলের বর্ধমানের সদস্য মৌলভী আবুল কাশেম তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারকে বর্ধমানের জেলা স্কুল করার দাবি জানান। তার পরেও আরো অনেক ইতিহাস আছে সেগুলো  সিনেমায় দেখতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও রয়েছে একটি ছাত্রের সঙ্গে তার স্কুলের  নাড়ির টান। সন্তান এবং মাতৃত্বের অটুট বন্ধন।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)